• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
বলিউড তারকা কারিনাকে ‘বয়স্ক’ বলে বিপাকে পাকিস্তানি অভিনেতা ঐক্যবদ্ধভাবে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে: মির্জা ফখরুল শিক্ষার্থীদের পিকনিক বাসের ধাক্কায় মিনিবাসের দুই যাত্রী নিহত কীভাবে ঢুকল আরও ৬০ হাজার রোহিঙ্গা যে ব্যাখ্যা দিলো পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সহ-সমন্বয়ক ঢাবি শিক্ষার্থী দুই দিন ধরে নিখোঁজ হাসিনা-জয়ের বিরুদ্ধে ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারে দুদকের অনুসন্ধান শুরু মালাক্কায় আন্তর্জাতিক হালাল ফেস্টিভাল’এ বাংলাদেশ হামাস-ইসরাইল যুদ্ধবিরতি আলোচনা ৯০ শতাংশ সম্পন্ন এবার যা যা নিয়ে এলো পাকিস্তানি সেই জাহাজে দিল্লির সব স্কুলে অবৈধ অভিবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে নির্দেশ

বিদিশার বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৩

অপহরণ, নির্যাতন ও অস্ত্রের মুখে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগে ঢাকার বিদিশা ফাউন্ডেশন ও এরিক বিস্ত্রোর মালিক মরহুম রাষ্ট্রপতি এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিকে বিরুদ্ধে গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গাইবান্ধা সদর উপজেলার কিশামত মালিবাড়ি ধর্মপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে আতিকুর রহমান এই সংবাদ সম্মেলন করেন। এর আগে বিদিশা সিদ্দিকের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী মো. আতিকুর রহমান বাদী হয়ে গাইবান্ধা আমলী আদালতে একই অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।

আতিকুর রহমান তার লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, তার আর্থিক সংকটের কারণে ইটভাটাটি ভাড়া দেন। এরপর ২০১০ সালে বিদিশা সিদ্দিকের মালিকানাধীন ঢাকাস্থ এরিক বিস্ত্রো নামীয় প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেন। পরবর্তীতে তারই অধীনে ‘বিদিশা ফাউন্ডেশন’ এ যোগদান করেন।

২০১৬ সালের শেষের দিকে বিদিশা সিদ্দিক তার ইটভাটায় টাকা লগ্নি করেন। বিদিশা ইটভাটা চালু করার জন্য প্রথম পর্যায়ে ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা ধার প্রদানে রাজি হন। কিস্তি প্রদানের স্বার্থে ৬০ মাস মেয়াদী প্রতিমাসে সুদাসলে ৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা কিস্তি প্রদানের শর্তে ৫ কোটি ২২ লাখ টাকার চেক বিদিশা সিদ্দিককে প্রদান করেন আতিকুর রহমান। এই টাকাগুলো আতিকুর রহমান বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক ও বিকাশের মাধ্যমে বিদিশা সিদ্দিকের নির্দেশে বিদিশা ফাউন্ডেশনের কাছে প্রদান করেন।

এদিকে, বিদিশা সিদ্দিক গত ৭ মার্চ একটি প্রাইভেট জিপ গাড়িযোগে (নং ঢাকা মেট্র-ঘ-১৭-৩০৪৬) তার কতিপয় অস্ত্রধারী লোকজনসহ অতর্কিতে আতিকুরের ইটভাটায় আসেন। এ সময় ভাটার কর্মচারিদের সামনে পূর্বের সম্পর্কের কারণে তাকে গাড়িতে উঠতে বলে। গাড়িতে ওঠার পর অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গাড়ির মধ্যে তাকে মারপিট করতে করতে ঢাকার পথে রওনা দেয়। এরপর বিদিশা সিদ্দিকের ঢাকার গুলশান-১ রোড নং-৪ ও ১৭ নং বাসার দ্বিতীয় তলায় তাকে আটকে রেখে প্রচণ্ড মারপিট করে ও মৃত্যুর ভয়ভীতি দেখিয়ে ৩০/৩৫টি ১০০ টাকার নন জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেয়। এ সময় তার কাছে থাকা নগদ এক লাখ আট হাজার টাকা, মোটরসাইকেলের চাবি, ম্যানিব্যাগে থাকা ড্রাইভিং লাইসেন্স, ব্লুবুক, বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম কার্ড, তার স্ত্রী ও তার বাবার ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লি. এর চেকের পাতা জোরপূর্বক নেয়।

বিদিশা সিদ্দিক ও তার লোকজন গত ৭ মার্চ থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত ১০ দিন তাকে আটকে রেখে প্রতিরাতে অমানুষিক নির্যাতন চালায়। এরপর তাকে ছেড়ে দিতে তার ভাই মো. আসাদুজ্জামান মিথেনকে ঢাকায় ডেকে নিয়ে ঢাকার বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কের বাসায় আটকে রেখে তাকেও অমানুষিক নির্যাতন চালায়। পরে দুই ভাইকে ছেড়ে দিবে বলে তার বৃদ্ধ বাবা মোহাম্মদ আলী সরকারকে ঢাকায় ডেকে নেন। এরপর বিদিশা সিদ্দিকের বাসার দ্বিতীয় তলায় সকলকে একদিন আটকে রাখে। সেখানে বিদিশা সিদ্দিকের লোকজন তাদেরকে নানা ভয়ভীতি ও হুমকির মুখে একটি সমঝোতা চুক্তি নামায় আতিকুর ও তার বাবার স্বাক্ষর নেয়।

এরপর বিদিশা সিদ্দিক গত ১৭ মার্চ আতিকুর ও তার লোকজনকে গাইবান্ধার ইটভাটায় নিয়ে আসে। তারা ইটভাটার অফিস তালাবদ্ধ করে এবং শাহজাদা নামে ব্যক্তিকে ইটভাটার দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। এরপর ইটভাটার যাবতীয় কাগজপত্র, রশিদ, মেমো, অফিসে থাকা বেশকিছু চেকের পাতা ও বিদিশা সিদ্দিককে পরিশোধ করা ১ কোটি ৫৬ লাখ ৬০ হাজার টাকার রিসিভ কপিগুলোও তারা নিয়ে নেয়। পরবর্তীতে আতিকুরের ব্যবহৃত ইয়ামাহা মটরসাইকেলটি শাহজাদার মাধ্যমে গাইবান্ধা থেকে কুরিয়ারের মাধ্যমে ঢাকায় পাঠায়।

বর্তমানে বিদিশার নির্দেশে শাহজাদা জোরপূর্বক ইটভাটা দখল করে আছে ও ইটভাটার অনেক মালামাল বিক্রি করছে। আতিকুর রহমান নিরুপায় হয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় বিষয়টি জানালে থানা আমলে না নেয়ায় পরে গাইবান্ধার আমলী আদালতে বিদিশা সিদ্দিক, তার সঙ্গী মোরশেদ মঞ্জুর, মেজর আনিছ ও শাহজাদাকে অভিযুক্ত করে গত ২৮ মার্চ একটি মামলা (নং ২৪৮) দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে বিদিশা সিদ্দিকির সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আতিকুর আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করেছে তা সম্পুর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। বরং তার দ্বারাই আমি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ