• মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:২৩ পূর্বাহ্ন

২ আসামির ফাঁসি কার্যকর হতে পারে রাতে, কারাগারে স্বজনরা

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই, ২০২৩

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামি ড. মিয়া মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলমের ফাঁসি আজ কার্যকর হতে পারে।

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুই আসামির পরিবারের সদস্যরা রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। যেকোনো সময় আসামিদের ফাঁসি কার্যকর করা হবে বলে কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে আসামি জাহাঙ্গীর আলমের ছোট ভাই মিজানুর রহমান বলেন, গত রোববার কারা কর্তৃপক্ষ আমাদের চিঠি দিয়েছিল। রিট পেন্টিং থাকায় আমরা তখন দেখা করি নাই। রিট নিষ্পত্তি হওয়ার পর আজ আমরা দেখা করতে এসেছি। আমাদের পরিবারের প্রায় ৩৫ জন দেখা করতে এসেছে।

এদিকে আজ রাতেই অধ্যাপক এস তাহির হত্যা মামলার আসামিদের ফাঁসি কার্যকর করা হতে পারে বলে কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি সূত্র জানিয়েছে।

আজ দুপুরে কারাগারের ভেতরে রাজশাহী জেলা প্রশাসক সিভিল সার্জন ডিআইজি প্রিজন ও কারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মিটিং হয়েছে। তবে এ নিয়ে কোন বক্তব্য দেননি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাবির কোয়ার্টারের ম্যানহোলে পাওয়া যায় পদোন্নতিসংক্রান্ত বিষয়ের জেরে নৃশংসভাবে হত্যার শিকার অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ। ৩ ফেব্রুয়ারি নিহত অধ্যাপক তাহেরের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ।

হত্যা মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত চারজনকে ফাঁসির আদেশ ও দুজনকে খালাস দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, নিহত অধ্যাপক ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম, নাজমুল আলম ও আব্দুস সালাম। ২০০৮ সালে বিচারিক আদালতের রায়ের পর নিয়ম অনুযায়ী ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ) হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন। শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় দুই আসামির ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল এবং অন্য দুই আসামির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন হাইকোর্ট।

ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল রাখা দুই আসামি হলেন একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও নিহত ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার জাহাঙ্গীর আলম। ফাঁসির দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া দুই আসামি হলেন নাজমুল আলম ও আব্দুস সালাম। এরপর আসামিরা আপিল বিভাগে আপিল করেন। পাশাপাশি যাবজ্জীবন দণ্ডিত দুই আসামির দণ্ড বাড়াতে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি শেষে গত বছরের ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগের রায় বহাল রাখেন।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ