• বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:০৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
বরিশালে প্রার্থী ঘোষণা জামায়াতের, সাঈদীর ছেলেসহ যাদের নাম জানা গেল ডাক্তারদের উপঢৌকন বন্ধ হলে ওষুধের দাম কমবে ৩০ শতাংশ মান্নার জীবনী নিয়ে তৈরি হবে সিনেমা, যা বললেন নায়কের স্ত্রী তানিয়ার সঙ্গে অভিনেতা সোহেল মণ্ডলের ঘুরতে গিয়ে পরিচয়! ৮ শতাধিক আয়নাঘর ছিল সারা দেশে: শফিকুল আলম রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও উন্নয়নে আনসার বাহিনীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মারা গেছেন মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলায় আহত কাশেম আলোচিত ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘের আশঙ্কা, জুলাই আন্দোলনে ১৪০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা জনগণের ইচ্ছা ও আইনি দলিল দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত: হাইকোর্ট

সম্প্রদায় গঠন ও ঐক্য জোরদারে অঙ্গীকার আসিয়ান সদস্য রাষ্ট্রগুলোর

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় জাতি সংস্থার (আসিয়ান) ৪৩তম শীর্ষ সম্মেলনে এর সম্প্রদায়, ঐক্য ও কেন্দ্রীয়তা শক্তিশালী করার জন্য তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।

 

‘আসিয়ান ম্যাটারস : এপিসেন্ট্রাম অব গ্রোথ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ৩ দিনব্যাপী আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলন ও সংশ্লিষ্ট শীর্ষ সম্মেলন বৃহস্পতিবার শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

 

বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) জারি করা ৪৩তম আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের চেয়ারম্যানের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা আসিয়ানের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছি, আজকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং এর জনগণ, অঞ্চল ও বিশ্বের জন্য প্রাসঙ্গিক থাকতে শক্তিশালী ও কর্মতৎপরতা, শক্তিশালী সক্ষমতা ও প্রাতিষ্ঠানিক কার্যকারিতায় সজ্জিত একটি সংস্থা হিসেবে আসিয়ানকে আরো শক্তিশালী করার জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছি।’

 

 

এতে আরো বলা হয়, আসিয়ান দেশগুলো এই অঞ্চলে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পাশাপাশি বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানে তাদের অভিন্ন প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।

 

তারা আঞ্চলিকতা ও বহুপাক্ষিকতাকে সমুন্নত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন এবং জাতিসঙ্ঘ সনদ, আসিয়ান সনদ এবং শান্তি, স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতার অঞ্চলের ঘোষণাপত্রে উল্লিখিত মূল নীতি, অভিন্ন মূল্যবোধ ও রীতিনীতি মেনে চলার গুরুত্বের ওপর জোর দেন।

 

সম্মেলনে আসিয়ান কনকর্ড চতুর্থ, আসিয়ান নেতাদের প্রবৃদ্ধির কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে এর নেতাদের ঘোষণাসহ বেশ কয়েকটি নথি গৃহীত হয়েছে।

 

 

আসিয়ান কনকর্ড চতুর্থ এই অঞ্চল এবং এর জনগণের জন্য সংস্থাটির গুরুত্ব নিশ্চিত করতে অব্যাহত প্রচেষ্টাকে সংহত করে এবং এই অঞ্চল ও এর বাইরেও প্রবৃদ্ধির কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে বিরাজ করছে।

 

সামুদ্রিক সহযোগিতা, যোগাযোগ, জাতিসঙ্ঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ এবং অর্থনীতির ৪টি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে আসিয়ান ভুক্ত দেশগুলো তাদের অংশীদারদের ব্যবহারিক ও বাস্তব সহযোগিতায় নিয়োজিত হতে আরো উৎসাহিত করার অঙ্গীকার করেছে।

 

মহামারী পরবর্তী আঞ্চলিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপের (আরসিইপি) কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা জরুরি প্রয়োজন উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আরসিইপি চুক্তি বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিতে আমরা সন্তুষ্ট।’

 

 

এতে আরো বলা হয়, সংস্থাটি আসিয়ান লোকাল কারেন্সি ট্রানজেকশন টাস্ক ফোর্স প্রতিষ্ঠা এবং আসিয়ানের জন্য রিজিওনাল পেমেন্ট কানেকটিভিটি সম্পর্কিত রোডম্যাপ সম্পন্নকে স্বাগত জানিয়েছে।

 

আসিয়ান দেশগুলো পরিবেশ সংরক্ষণ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অনুঘটক হিসেবে টেকসই পর্যটনের গুরুত্বও উল্লেখ করেছে।

 

বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২৬ সালে ফিলিপাইন আসিয়ানের সভাপতিত্ব গ্রহণ করবে বলেও জোটের সদস্যরা একমত হয়েছেন।

 

১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আসিয়ান। এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো হচ্ছে- ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ