দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম একেবারেই লাগামছাড়া। বাজারে গেলে নাকের পানি আর চোখের পানি এক হয়ে যায় নিম্ন আর মধ্যবিত্ত মানুষের। যেসব খাদ্যদ্রব্য দেশেই উৎপাদিত হয়, সেগুলোও ত্রেতাদের কিনতে হচ্ছে উচ্চ মূল্যে। কেন জিনিসপত্রের দামে এত উর্ধ্বগতি?
এই দূরাবস্থার জন্য দেশের অর্থনীতিবিদরা বিভিন্ন সিন্ডিকেটকে দায়ী করে আসছেন শুরু থেকেই। সাধারণ মানুষেরও একই মত। এবার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির জন্য সেই সিন্ডিকেটকে দায়ী করলেন ঢালিউড চিত্রনায়ক বাপ্পী চৌধুরীও।
শুধু তাই নয়, সিন্ডিকেটকারীদের এই অভিনেতা মনে করিয়ে দিলেন যে, প্রকৃতির একটা বিচার আছে, যেটা খুবই ভয়ংকর। ‘নায়ক’ সিনেমার এই নায়ক এও বললেন, সিন্ডিকেটকারীদের পরবর্তী প্রজন্ম হয়তো একসময় এমন দূরাবস্থার মধ্যে পড়বে।
সোমবার নিজের ফেসবুকে একটি ভিডিওসহ পোস্ট দিয়ে এসব কথা লেখেন বাপ্পী। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, রাজধানীর নিউমার্কেটের রাস্তায় এক বৃদ্ধ চাচা কাঠের তৈরি দুই সাইজের কয়েকটি খুন্তি নিয়ে বসে আছেন খদ্দেরের অপেক্ষায়।
ভিডিওটি পোস্ট করে বাপ্পী লিখেছেন, ‘যারা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের সিন্ডিকেট করছেন তাদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা:
‘আজ বিকেলে এমনিতেই বের হয়েছিলাম,হাঁটতে নিউ মার্কেট এলাকায়, চলার পথে চোখে পড়ল এই বৃদ্ধ বাবার এই ছোট্ট দোকান, যৎসামান্য এই মালামাল বিক্রি করে সারাদিন সে কতই বা প্রফিট করবে ২০০/৩০০! যা দ্রব্যমূল্যের দাম এই ইনকামের টাকা দিয়ে তার পরিবার কি আদৌ চলবে? দু কেজি চাল দু কেজি আলু কিনতেই তো সব শেষ!’
বাপ্পী লিখেছেন, ‘একটা সময় মানুষ অন্তত ভাত আর আলু খেয়ে বাঁচতো, এখন তো সেই পথও খোলা নেই! খুব খারাপ লাগে! যারা সিন্ডিকেট করছেন তারা মনে রাখবেন আপনাদের কয়েক জেনারেশন আগের কেউ হয়তো এমন পেশায় নিয়োজিত ছিল! প্রকৃতির একটা বিচার আছে, যা খুব ভয়ংকর, হয়তো তোমাদের পরবর্তী জেনারেশনেরও এমন পরিস্থিতি হতে পারে!’
শুধু বাপ্পী নয়, দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি এবং এর নেপথ্যে থাকা দেশের বিভিন্ন সিন্ডিকেট নিয়ে এর আগে আরেক জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ওমর সানীও আওয়াজ তুলেছেন। তিনি তো এক ধাপ এগিয়ে সরকারের কাছে তালিকাও চান যে, গরিব আর মধ্যবিত্ত মানুষরা কী খাবে, কী খাবে না।