বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খানের বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় নানা তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। মধ্যরাতে বাড়িতে প্রবেশ করে ছয়বার ছুরিকাঘাত করা হয় তাকে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয় অভিনেতাকে, কিন্তু একই বাড়িতে থেকে সেদিন সাইফকে হাসপাতালে নিয়ে যাননি স্ত্রী কারিনা কাপুর খান। কিন্তু কেন, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এ নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য ট্রিবিউন জানিয়েছে, সেদিন রক্তাক্ত অবস্থায় ছেলে তৈমুরের সঙ্গে হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন সাইফ। এলাহি গাড়িতে নয়, বরং অটোয় লীলাবতী হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন সাইফ। কিন্তু কারিনা কেন উদ্যোগ নিয়ে স্বামীকে হাসপাতালে নিয়ে যাননি? সূত্রের খবর, সেদিন রাতে নাকি পার্টিতে মদ্যপান করে বেহাল দশা হয়েছিল কারিনার। তাই সাইফের পাশে সেদিন থাকতে পারেননি তিনি। তবে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছাড়ার দিন সাইফের সাথেই দেখা যায় কারিনাকে।
যদিও হামলার রাতে সাইফের সাথে না থাকা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি কারিনা। তাই প্রশ্ন উঠেছে সাইফের ওপর হামলার রাতে সত্যিই নেশাগ্রস্ত ছিলেন কিনা করিনা? এর আগে যদিও কারিনা সাইফের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে নানা রহস্য দানা বাঁধছে। হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে গ্রেফতার করেছে মুম্বাই পুলিশ। তবে শরিফুলের বাবা বলেছেন, পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তি তার ছেলে শেহজাদ হলেও সিসিটিভি ফুটেজে যাকে দেখা গিয়েছিল, সে অন্য কেউ। তার ছেলে নন।
এর আগে, সাইফের ওপর হামলার ঘটনায় সন্দেহপ্রকাশ করেন খোদ মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী। সম্প্রতি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নীতেশ রানে। তার দাবি, কিছুই আঘাত লাগেনি সাইফ আলি খানের, পুরোটাই ‘অভিনয়’। নীতেশ রানে বলেন, ‘আমি যখন ডিসচার্জের পরে সাইফ আলি খানকে দেখলাম। আমার সন্দেহ, ওকে সত্যিই কোপ মারা হয়েছে? নাকি শুধুমাত্র অভিনয় করছেন? হাঁটার সময় তো নাচছিলেন।’