হেলাল হাফিজ সমকালীন বাংলা কবিতার এক প্রবাদপ্রতিম শব্দ শ্রমিক, ঈর্ষণীয় তার জনপ্রিয়তা। আগামীকাল সত্তর বছরে পা রাখবেন দ্রোহ, প্রেম, প্রতিবাদ ও বিরহের এই কবি। গভীর নিষ্ঠা ও মমতার সঙ্গে তিনি বিগত কয়েক বছর ধরে তার দ্বিতীয় মৌলিক কাব্য ‘বেদনাকে বলেছি কেঁদো না’র পাণ্ডুলিপি তৈরির কাজ করে চলেছেন। সব পরাজিত মানুষকে বিজয়ের মন্ত্রে উজ্জীবিত করতে এবং তাদের মনোজগতের ইতিবাচক শক্তিকে উসকে দিতে এই গ্রন্থের কবিতা গুরুত্বপূর্ণ শৈল্পিক ভূমিকা পালন করবে বলে কবির দৃঢ় বিশ্বাস। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বিনয় ও দৃঢ়তার সঙ্গে জানান, কোনো আসন্ন বইমেলা ধরা নয় বরং যুদ্ধ ও খেলাটা তার ভাবীকালের সঙ্গে! জন্মদিন উপলক্ষে কবির সঙ্গে সাহিত্যের বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন, তরুণ কবি জব্বার আল নাঈম ও তরুণ কথাসাহিত্যিক শামস সাইদ। বি.স.-কবি হেলাল হাফিজ
এবার ‘বেদনাকে বলেছি কেঁদোনা’ কাব্যগ্রন্থ কি বই আকারে পাঠকের হাতে পৌঁছবে?
: এ পাণ্ডুলিপির দুই তৃতীয়াংশ কাজ শেষ হয়েছে। বইটি যদি চার ফর্মার করি, তাহলে ৫৬টি কবিতা লাগবে। লম্বা কবিতা যদি হয় সেক্ষেত্রে দুই পৃষ্ঠায় যাবে। আমার বড় কবিতা নেই। বড় কবিতা আমি লিখতে পারি না। এর মধ্যে ২৫টি কবিতা একদম রেডি। আরও লাগবে ৩১টি। কিছু কবিতা আছে। আন্ডার প্রসেসে সে পরিমার্জনা চলছে। ঘষামাজা চলছে। বাকি কবিতাগুলো লিখতে গিয়ে আমার মনে হয়, এ বইমেলা ধরতে পারব না। তবে, টার্গেট মেলার বাইরে বই করার। দেখব কী অবস্থা হয়। মেলায় করলে একটাই সুবিধা একবারে অনেক বই বিক্রি হয়। প্রকাশকেরও সুবিধা হয়। এক সঙ্গে টাকাটা পেয়ে যায়। কিন্তু, আমি অসুস্থ। গত এক বছর বেশি অসুস্থ। দেখতে অসুবিধা হয়। পড়তে অসুবিধা হয়। চোখের সমস্যার বাইরেও আমার অনেক সমস্যা রয়েছে। রোগবালাই নিয়ে আমাকে সামনের দিকে যেতে হচ্ছে। গত এক বছর কাজ করার অবস্থা আমার ছিল না।
গত ৫-৬ বছর ধরে শুনে আসছি দ্বিতীয় বই পাঠকের হাতে তুলে দেবেন। সেটা আনতে অনেক সময় লেগে যাচ্ছে না?
: ওই যে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ বইটি। যেটাকে আমি অতিক্রম করতে পারিনি। কবিতা বাছাই করতে গিয়ে বারবার ঝামেলায় পড়তে হয়েছে। ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ খ্যাতি বলো বা পাঠকপ্রিয়তা বলো এটাকে আমি ভয় পাই। আর সারা জীবনই আমি কম লিখেছি। সেটা জানো। অসুস্থ হওয়ার পর আরও ক্ষমতা কমে গেছে। বাকি কবিতাগুলো নিয়ে কাজ করছি। আরও কিছু দিন সময় লাগবে। আমিও সময় নিচ্ছি। আর ‘বেদনাকে বলেছি কেঁদোনা’ হবে আমার দ্বিতীয় ও শেষ কবিতার বই। যদি পরমায়ু থাকে বা কুলায় তখন গদ্যে হাত দেব।
এই বইটি কোন প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হবে?
: না না। কোনো প্রকাশনীর সঙ্গে আমার কথা হয়নি। অনেকেই বলছেন করবেন। তারা আমাকে অগ্রিম টাকাও দিতে চায়। নেইনি। অগ্রিম টাকা নিয়ে পরে ঝামেলায় পড়তে হবে। একজন বলল, এক লাখ টাকা দিয়ে রাখি। আমি রাজি হইনি। টাকা খরচ হয়ে যাবে। পাণ্ডুলিপি দিতে পারলাম না। এটা হয় না।
প্রথম বইয়ের গ্রন্থস্বত্ব কার?
: লেখক। মানে আমার।
যখন আপনি থাকবেন না। তখন এটার রয়্যালিটি পাবেন কে?
: আমার তিন বোন ও তিন ভাই আছেন। নিশ্চয়ই তারা আমার সব কিছু সমান হারে পাবে। নাকি? তারাই তো পাওয়ার কথা।
আপনি এ বইয়ের গ্রন্থস্বত্ব কাকে দিয়ে যেতে চাচ্ছেন। সব ভাইবোন তো আর পাবে না।
: এটা তো ভাবি না। ভাবতেই হবে। ভালো একটা কথা মনে করিয়ে দিলে। এটা নিয়ে ভাবব। আমি তো ভাবছি যেহেতু ভাইবোন আছে তারাই পাবে।
যতটুকু জানি আপনার প্রথম বইয়ের প্রায় ৩০টি এডিশন হয়েছে। প্রকাশক আপনাকে রয়্যালিটি ঠিকমতো দিয়েছেন?
: আমি অনেক টাকা রয়্যালিটি পেয়েছি। অনেক। প্রকাশকরা একটু ঠকায় তা জানি; কিন্তু আমি অনেক টাকা রয়্যালিটি পেয়েছি। সন্দেহ নেই। এভাবে একটা জীবন পার করেছি। আর বই লিখে আমি চলব এমনটা তো ভাবিনি। তারপরও প্রকাশকরা আমাকে অনেক দিয়েছেন। আমার বইটার প্রথম প্রকাশক ছিল ‘অনিন্দ্য প্রকাশ’ এর নাজমুল হোসেন। সে নেই। মারা গেছে। জীবিত থাকতেই তার কাছে থেকে বই এনে সাবেরকে দিয়েছি। ওর প্রকাশনী সেন্স ভালো ছিল না। তারপরও বইটি মুড়ি-মুড়কির মতো বিক্রি হয়েছে।
প্রথম এডিশন কত কপি ছিল?
: সেটা সম্ভবত আড়াই হাজারের কম নয়। পরবর্তী সময়ে যখন দেখল বই বিক্রি ভালো তখন সে আরও ৫-৭ হাজার কপি প্রিন্ট করল। এরপর ৫ হাজার কপি করে কয়েকবারই প্রিন্ট করেছে।
বইটা এত বিক্রি হওয়ার পেছনে কোন কারণ আছে মনে করেন?
: আমার প্রথম যৌবন, মধ্য যৌবন পর্যন্ত এ ভূ-খণ্ডের কতগুলো মেজর ঘটনা ঘটেছিল। একজন প্রকৃত কবির কাজ শুধু একটা ঘটনা দেখাই না। দেখিয়েও দিতে হয়। আমি সেই কাজটা করেছি। বিরহ দেখিয়েছি। আমি যুদ্ধবিরোধী মানুষ। কিন্তু এ যুদ্ধ ছিল অপরিহার্য। যুদ্ধ করতে হয়েছে আমাদের। তখন দেখেছি ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান। ৭০’র নির্বাচন। ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ। এসব ছিল। আবার সে বয়সটা ছিল প্রেমের বয়স। যারা প্রেম করতে চায়। একটু কাছে পেতে চায়। এরপরই আসে বিরহ। এসব নিয়েই কবিতা বইটিতে ছিল। ফলে, মানুষ এটা পড়েছে। আমার কাছে অন্য কোনো কারণ আছে বলে আর মনে হয় না। আমার থেকে ২-৩ জেনারেশন পরের যারা তারাও এই বইটি নিয়েছে। অথবা যারা লেখালেখি করছে তারাও এ বই দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। পড়েছে।
আপনি কি মনে করেন, সব তরুণ কবি এ বই দ্বারা প্রভাবিত?
: না না না। তা হবে কেন? একদম না। প্রথম প্রথম কবিতা লেখার প্রতি যে আসক্তি থাকে সে কথা বলছিলাম। যে আমি লিখব। এমন ভাবনাটা। উনি যদি পারে আমি কেন পারব না। এই যে ইগোটা জাগানো এটাও একটা বড় কাজ। সবাই তো এটা পারে না। আর আমি যেভাবে লিখি সেভাবে যদি তরুণরা লিখে তাহলে তো বড় কবি হতে পারবে না। তাকে নিজস্ব কাব্য ভাষা বা কাব্য বয়ান তৈরি করতে হবে।
একই সময়ে আপনি আর আহসান হাবীব সাহিত্য সম্পাদক ছিলেন। আপনি ওনার দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন?
: ওনার দ্বারা আমি দুটি বিষয়ে প্রভাবিত ছিলাম। লক্ষ্য করেছি, তিনি মফস্বলের লেখা খুবই মনোযোগ সহকারে পড়তেন। যেগুলো ডাকযোগে আসত। তখন তো আর ফেসবুক বা মেইলের যুগ ছিল না।
যে ছেলে বা মেয়ের লেখায় সামান্য সম্ভাবনা পেয়েছেন, ওই লেখক, কবি বা গল্পকারকে তিনি গ্রহণ করতেন। আমিও তাই করেছি। দ্বিতীয়ত, তিনি যার লেখা পছন্দ করতেন তাকে চিঠি লিখতেন, তোমার এ দুর্বলতা আছে। তুমি এটা ঠিক করো। তবে, তিনি ওই কবিতাটি ছাপতেন।
আমিও হাবিব ভাইয়ের কাছ থেকে সেটা গ্রহণ করেছি। কত তরুণ লেখককে যে চিঠি লিখেছি। উৎসাহ দিয়েছি। আমার বিচার অনেক সময় ভুলও হতে পারে। আমি এমনটা করেছি। চেয়েছি নতুনদের তুলে আনতে। তোমরা তো ঢাকাতে এসে লেখালেখি করেছ। ডাকে লেখা পাঠাতে হয় না। আবার চিঠিও পাওনি। কিন্তু, মফস্বলের একজন লেখক ঢাকার জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদকের চিঠি পাওয়াকে বিশেষ কিছু মনে করত। ভাবত। নিজের ভেতর পরিবর্তন আসত। আমি এমনও করেছি অনেক তরুণ যারা ভালো কবিতা লেখে তাদের কবিতা ক্রোড়পত্রে ছেপেছি। আবার দেখা যায়, খুবই নামকরা কবি। দেশের বিখ্যাত কবি তার পাশাপাশি একজন তরুণের কবিতা ছেপেছি। তাহলে বোঝ। কী অবস্থা, এমনটা আমি করেছি। তরুণদের এমন সুযোগ একজন সম্পাদক দিতে পারেন। এগুলোর একটা আলাদা গুরুত্ব। ধরো, মাহমুদ ভাই (আল মাহমুদ) আর নির্মলেন্দু গুণের সঙ্গে তোমার কবিতা ছাপা হল। এটার আলাদা গুরুত্ব আছে না? অবশ্যই আছে। অথবা রফিক আজাদ বা আমার একটি কবিতার পাশে মফস্বলের একজন তরুণের কবিতা ছাপালে তরুণের গুরুত্ব বেড়ে যাবে অনেক গুণ। এগুলো হাবিব ভাইয়ের কাছ থেকে পেয়েছি।
হাবিব ভাইকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবতেন?
: না না। হাবিব ভাই অসম্ভব ভালো মানুষ। এক কথায় সুপার মানুষ। মমত্বমাখা। সবাই ভাবতেন সবার কাছের মানুষ তিনি। এতটা জনপ্রিয় ছিলেন। তাকে প্রতিযোগী ভাবা যেত না। যার কাছ থেকে আমরা শিখতাম। তাকে কী করে প্রতিযোগী ভাবি। তিনি অসম্ভব মেধাবী, সৎ ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতেন। যোগ্য লোক। অযোগ্য লোকের নিষ্ঠার তো কোনো দাম নেই। সব উপাদান একত্রে মিললে কত সুন্দর হয়। হাবিব ভাই ঠিক তাই ছিলেন।
হাবিব ভাই ছিলেন ‘দৈনিক পাকিস্তান’ যা পরে ‘দৈনিক বাংলা’ নামকরণ হয় সেটার সাহিত্য সম্পাদক। তখন দুইটা কাগজ ছিল শিল্প সাহিত্যের মানদণ্ড। একটা সিকান্দর আবু জাফরের ‘সমকাল’ আরেকটা হাবিব ভাইয়ের ‘দৈনিক বাংলা’। এ দুই জায়গায় লেখা বের হলে দেশের মানুষ তাকে লেখক ভাবতে শুরু করত। এত দরদ দিয়ে কেউ সম্পাদনা করতেন না।
আপনাদের সময়ে দলবাজি ছিল?
: আমাদের সময়ে ছিল না তা না। ছিল। এতটা না। তবে, এখনকার দলবাজি সাহিত্যের জন্য কতটা উপকার করবে তা জানি না। এখন ভালোবাসা কমে গেছে। সম্মান ও স্নেহ নেই বললেই চলে। ঈর্ষা তো বড় একটা রিপু। এই রিপু প্রত্যেকের মধ্যে প্রবলভাবে আছে। কিন্তু তোমার আমার দায়িত্ব ঈর্ষাটাকে শৈল্পিক পর্যায়ে নিয়ে আসা। এখনকার তরুণরা ফেসবুকে কবিতা বেশি প্রকাশ করে। এটাকে বিকল্প একটা মিডিয়া বলা যায়। এবং তোমরা লক্ষ করলে দেখবে ফেসবুকে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা হচ্ছে। আমি বললাম তোমার পছন্দের কবিতা দাও। তুমি আরেকজনকে বললে তোমার পছন্দের কবিতা দাও। এই যে প্রতিযোগিতা এর মাধ্যমে সাহিত্যচর্চা বাড়ছে। কমছে না। ফলে, আগে যেমন একজন তরুণ বা তরুণী কবিতা প্রকাশের জন্য পত্রিকার দিকে তাকিয়ে থেকেছে। এখন তা করতে হচ্ছে না।
কবিতার আন্তর্জাতিকতাকে আপনি কীভাবে দেখেন?
: সেখানে আমরা পিছিয়ে আছি। অনেক পিছিয়ে আছি অন্য কারণে, আমাদের ভাষায় খুবই উঁচুমানের সাহিত্য আছে। উপন্যাস আছে। গল্প, কবিতা আছে। কিন্তু কেউ খবর রাখছেন না। এটা যদি ইংরেজিতে হতো দেখতে আমাদের কত লেখক আলোচিত হচ্ছে। বাংলায় লেখার কারণে তা হচ্ছে না। এ উপমহাদেশে বেশকিছু লেখক আছেন যারা ইংরেজিতে লিখেন এবং তারা আলোচিত।
এটা কীভাবে উত্তোরণ সম্ভব?
: এর জন্য কাজ করতে হবে। আলাদা ইন্সটিটিউশন তৈরি করতে হবে। আলাদা শ্রম দিয়ে কাজ করতে হবে। বিশ্বের ভালো ভালো রচনা যেমন বাংলায় অনুবাদ করতে হবে। তেমনিভাবে আমাদের ভালো সাহিত্যগুলোও বিদেশি ভাষায় অনুবাদ করতে হবে। বিশেষ করে ইংরেজি ভাষায়। ইংরেজি ছাড়া বিশ্বের কাছে কোনোভাবেই পৌঁছানো সম্ভব নয়। এটা করা ফরজ। গুরুত্ব দিয়েই এ কাজ করতে হবে। না হয় বাংলাসাহিত্য এখানেই আটকে থাকবে। এর দায়িত্ব তরুণদের বেশি নিতে হবে। উজ্জীবিত হতে হবে।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশে প্রাইভেট ভাবেও এ কাজ করছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে করছেন ইউপিএল।
: করা যায়। অনুবাদ সেন্টার সেটা প্রাইভেট বা সরকারি উদ্যোগে বৃহৎ আকারে করা দরকার। এখানে লেখকদেরও দায়িত্ব আছে। প্রকাশকের দায়িত্ব আছে। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানেরও দায়িত্ব আছে। অন্যদিকে ইউপিএল এর মতো যদি আরও তিন-চারটি বা পাঁচটি প্রতিষ্ঠান দাঁড়িয়ে যায়, তাহলে এ সমস্যা সাময়িক বন্ধ করা যাবে। লেখকদের জন্য সুবিধা হবে। তবে এক্ষেত্রে সাহিত্যকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। এতে করে আমাদের এখানে যে বুকার ও নোবেল কমিটির লোক আছে তারা বইগুলো মনোনয়ন করবে। এভাবেই আমাদের সাহিত্য বিশ্বের দরবারে আলোচিত হবে। সেটা অনেক আগেই করা দরকার ছিল।
আবার সাহিত্যে ফিরে আসি। কবিতায় নিজের জন্মস্থান বা মাটির কথা বলা কতটা বাধ্যতামূলক বলে মনে করেন?
: তুমি তোমার ভূ-খণ্ডের সুখ-দুঃখের কথা যত বলবে শৈল্পিক ও নান্দনিকভাবে তা অন্য কেউ বলবে না। এর ভেতর দিয়ে কবির চিন্তা বৈশ্বিক হবে। তবে, সেখানে নিজের ভূ-খণ্ড থাকবে। এখানে কোনো বিরোধ নেই। আমি আমার কথার ভেতর দিয়েই বিশ্বের কথা বলব। এখানের পরিচিত মানুষ, পশু-পাখি, সুখ-দুঃখ সবকিছুরই কথা বলব নিজের ভাষায়। ক্রমেই সেটা আবার বৈশ্বিক হয়ে যাবে। বিশ্ব তো একটাই। আর সেখানে বসবাস করে মানুষ। মাঝখানে একটা কাঁটাতার আছেন। ব্যবধান এতটুকুই।