সফলতার সঙ্গে অনুষ্ঠিত হলো এশিয়ান রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড টেকঅ্যাওয়ে অ্যাওয়ার্ড আরতা’র মিডিয়া লঞ্চিং। ব্রিটেনের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা রেস্টুরেটার্স, ইন্ডাস্ট্রির নেতা, সিনিয়র সাংবাদিক, মিডিয়া ডিরেকটর ও বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে ব্যতিক্রমী নানা কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে সম্প্রতি এটি যাত্রা শুরু করে।
লন্ডনের ডকল্যান্ডের ক্রাউন প্লাজা হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বৃটিশ বাংলাদেশি বা সাউথ এশিয়ান কারি ইন্ডাস্ট্রির সামগ্রিক উন্নতিতে অ্যাওয়ার্ড বা মূল্যায়ন একটি বড় ভূমিকা রাখতে পারে। তবে এক্ষেত্রে এর আয়োজনে থাকতে হবে বৈচিত্রতা এবং অ্যাওয়ার্ড প্রদানে স্বচ্ছতা।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে আরতা অ্যাওয়ার্ড ফাউন্ডার এবং শেফ অনলাইনের সিইও এমএ মুনিম সালিক ঘোষণা করেন, আরতা অ্যাওয়ার্ড কালচারে নতুন একটি মাত্রা তৈরি করবে। বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি গ্রাহকদের মনোনয়নের ভিত্তিতে ১৫টি অঞ্চলে আলাদা আলাদা অনুষ্ঠান করে সেরাদের বাছাই করা হবে। গ্র্যান্ড ফিনালের মাধ্যমে রিজিওনাল ‘রেস্টুরেন্ট অব দ্য ইয়ার’ ঘোষণার পাশাপাশি প্রদান করা হবে একটি ‘চ্যাম্পিয়ান অব দ্য চ্যাম্পিয়ানস অ্যাওয়ার্ড’। স্বর্ণখচিত একটি ট্রফির মূল্য হবে প্রায় ৪০ হাজার পাউন্ড।
বিবিসির নিউজ প্রেজেন্টার সামান্তা সিমন্ডের উপস্থাপনায় এতে বিশেষ বক্তা হিসেবে অংশ নেন আরতার প্রস্তাবিত দুই চ্যারিটি পার্টনার ‘অক্সফাম’ এর ফান্ডরেইর্জিং ডিরেকটর টিম হান্টার ও ৯০ দশকের সেরা বৃটিশ ক্রিকেটার ডেভিড ম্যালকম ও ক্যানারি ওয়ার্ফের ম্যানেজিং ডিরেকটর হাওয়ার্ড ডোভার।
তারা সকলেই আরতা কারি ইন্ডাস্ট্রির অ্যাওয়ার্ড ব্যতিক্রমী সংযোজন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ক্যানারি ওয়ার্ফের এমডি আরতা’কে তার প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘আমি জোরালোভাবে আরতাকে সমর্থন করি। এটি একটি উচ্চবিলাসী প্রজেক্ট। সাউথ এশিয়ান কারি সেক্টরে এই আয়োজন হবে সেরা’।
সামান্ডা সিমন্ড বলেন, ‘আরতার কমিটম্যান্ট শুনে আমি আশাবাদী এবং এর মিডিয়া লঞ্চিং উপস্থাপন করে আমি আনন্দিত। আমি মনে করি যারা কারি ভালবাসেন তাদের জন্য আরতা তাদের কণ্ঠকে জোরালো করবে’।
ডেভিড ম্যালকম বলেন, ‘আমি গর্বিত আরতার যাত্রা শুরুর অনুষ্ঠানে এসে। আমি বিশ্বাস করি তাদের সঙ্গে ভবিষ্যতে কাজ করতে পারবো। কারি এখন বৃটিশ সমাজের অংশ, আর এই কারি ইন্ডাস্ট্রির জন্য আরতার এই উদ্যোগ অনন্য’।
টিম হান্টার বলেন, ‘আরতার পরিকল্পনা আমাকে অভিভূত করেছে। অক্সফামের পক্ষ থেকে এর সূচনায় যুক্ত থেকে আনন্দিত’।
অনুষ্ঠানে আরতা’র কার্যকরী কমিটির ১০ জন সদস্যের মধ্যে ফাউন্ডার মুনিম সালি, টিমলিড ক্যানারি ওয়ার্ফের অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর জাকির খান, টিম মেম্বার রাজাক আমিন শাহেদ ও টিম মেম্বার কদরুল ইসলাম বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
এছাড়া অতিথি বক্তা ছিলেন- বাংলাদেশ ক্যাটারার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট কামাল ইয়াকুব, সাবেক প্রেসিডেন্ট পাশা খন্দকার, চেম্বারের সাবেক প্রেসিডেন্টি মুকিম আহমদ, লন্ডন-বাংলা প্রেসক্লাব প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নাহাস পাশা, এটিএন বাংলার সিইও হাফিজ আলম বক্স, ব্রিটিশ-বাংলাদেশি ক্যাটারার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ইয়াফর আলী, সেক্রেটারি শাহনুর খান, শীর্ষ রেস্টুরেটার্স ও আরতা অ্যাম্বেসেডর মিঠু চৌধুরী।
পাশা খন্দকার বলেন, ‘কারি ইন্ডাস্ট্রির নানা অ্যাওয়ার্ডের পরও আরতা এসেছে। তবে তারা বলেছে, তারা হবে যথেষ্ট ভিন্ন ও ব্যতিক্রমী’।
এসময় কামাল ইয়াকুব ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
ইয়াফর আলী বলেন, ‘আমরা আশা করি যেভাবে বলা হচ্ছে আরতার আয়োজনে সর্বোচ্চ মান এবং বর্ণাঢ্যতা থাকবে’।
মুকিম আহমদ বলেন, ‘কারি ইন্ডাস্ট্রিতে বিশাল সংকট রয়েছে যার সমাধানে উন্নত অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আশা করি আরতা সেই ভূমিকায় নেতৃত্ব দেবে’।
অনুষ্ঠানে ভিডিও প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে আরতা’র মূল বৈশিষ্ট্য তুলে ধারা হয়। জানানো হয় শত সহস্র কাস্টমারদের আকর্ষণ করার জন্যে একটি ব্যান্ড নিউ কার পুরস্কার ছাড়াও স্থানীয় ইংরেজি এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কাস্টমারদের মাঝে প্রচারণা চালানো হবে।
যাতে তারা পছন্দের রেস্টুরেন্টকে মনোনয়ন করেন। ১৫ রিজিওনে বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে হবে প্রাথমিক বাছাই।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালে বসবে গ্র্যান্ড ফিনালের জমকালো আসার। ২৪শ ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ইউরোপের অন্যতম বড় হোটেল ভ্যানু লন্ডন ওটু (O2) ইন্টার কন্টিনেন্টালেই হবে এর চূড়ান্ত আয়োজন।