রমজান মাসে প্রতি দিনের ইফতার যেন একটি করে উৎসব। নিজে কিংবা অতিথি আপ্যায়নে ইফতারে যত বেশি পদ বাড়ানো যায় ততই যেন ইফতারের সার্থকতা।
তবে আমরা সচরাচর ইফতার কিংবা সেহরিতে পুষ্টিকর খাবারের তুলনায় মুখরোচক খাবারের দিকে বেশি গুরুত্ব দিই।
রমজানে খাবারের পদ কেমন হওয়া উচিত? কথা বলেছিলাম পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে। তারা বলেন, ‘সেহরিতে সহজে হজম হয় এমন খাবার খাওয়া উচিত।
তেল এবং বেশি মসলাযুক্ত খাবার কম খেয়ে ঝোলজাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে।
এক্ষেত্রে সাদা ভাত, মাছ, ডাল, সবজি সেহরির জন্য ভালো। এছাড়া মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলে শরীরের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হয়। সেহরি করার মধ্য দিয়ে সারাদিনের শক্তি যেমন সঞ্চয় করে রাখতে হবে, তেমনি শরীরের পুষ্টির কথা মনে রাখতে হবে।
সারাদিন রোজা রাখার পর মুখরোচক ইফতারের লোভ সামলানো সত্যই কঠিন। তারপরও পোড়া, ভাজি এবং অধিক মসলাযুক্ত খাবার যথাসম্ভব পরিহার করে বিভিন্ন ফল যেমন লেবু, বেল, বাঙ্গি ইত্যাদির শরবত খেতে পারেন। তাছাড়া ডাবের পানি, বিভিন্ন ফলের রস, ইসুবগুল শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। এগুলোর সবই আপনার শরীরের পানিশূন্যতা দূর করার পাশাপাশি শরীরের ক্লান্তি দূর করতে সহায়তা করে। ইফতারে হালিম বেশ কদর পায়। তবে কেনা হালিমের চেয়ে বাড়িতে হালকা মসলা দিয়ে তৈরি হালিম শরীরের জন্য ভালো।
রেস্তোরাঁর হালিম মুখরোচক এবং গুরুপাক হওয়ার কারণে অনেক সময় হজমে তারতম্য হতে পারে। এছাড়া হরেক রকম মৌসুমি ফল, খেজুর বেশি বেশি খাওয়া যেতে পারে। এগুলোতে নানা ধরনের ভিটামিন এবং খনিজ লবণ রয়েছে। সারাদিন রোজা রাখার পর সহজপাচ্য ও জলীয় খাবারের প্রতি বেশি জোর দিন।
রোগীদের জন্য
অনেকেই স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভোগেন। এগুলোর মধ্যে আছে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগসহ নানা অসুস্থতা। যেসব রোগী উচ্চ রক্তচাপ কিংবা হৃদরোগে ভুগছেন তারা যদি মনে করেন তারা ভালো আছেন কিংবা শারীরিক কোনো দুর্বলতা নেই, তাহলে রোজা রাখতে বাধা নেই। তবে যদি ওষুধ সেবনকারী হন তবে সকালের ওষুধ তাকে ইফতারে খেতে হবে আর রাতের ওষুধ সেহরির সময় খেতে হবে।