• মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৪৩ অপরাহ্ন

রিপ কারেন্টের মৃত্যু ফাঁদ সেন্টমার্টিনে

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২৫

প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটকের পদচারণায় মূখরিত হয়, বাংলাদেশের একমাত্র নীল পানির দ্বীপ বা সৈকত সেন্টমার্টিন । অনেক জল্পনা কল্পনার শেষে, এই বছর আবারো শুরু হয়েছে সেন্টমার্টিনের সাথে সকল রুটের জাহাজ চলাচল।

কিছুদিন আগে ভাইরাল হওয়া নেটওয়ার্ক এর বাইরে – নাটকের কথা, কিংবা বহু বছর আগে সেন্টমার্টিনে আহ‌্ছানউল্লাহ ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের দুঃখজনক মৃত্যুর কথা সবারই মনে আছে।

যদি সেন্টমার্টিন এর ম্যাপ দেখা যায় তবে যে প্রান্তে সর্বাধিক মৃত্যু ঘটে হলো, সেন্টমার্টিনের মাথা বা কোনার দিকে এই ঘটনা বেশি ঘটে।

বাংলাদেশের সাথে পৃথিবীর অন্য সৈকতের মানুষ মারা যাওয়ার একটা পার্থক্য হলো, ভাটার সময় যেখানে কোন দেশে নামতেই দেয় না সেখানে,বাংলাদেশে অনেক মানুষ, ভাটার সময় পানিতে নেমে ভেসে যায়, এই অজ্ঞানতার কারনে অনেক জীবন বিনষ্ট হচ্ছে বছরের পর বছর।

ভাটার সময় মানুষের ভেসে যাওয়া বাদেও আর একটা বিপদজনক ইস্যু আছে। যেটা সম্পর্কে আমাদের সচেতনতা অনেক কম।একে বলা হয়, রিপ কারেন্ট। সোজা বাংলায় যেটা হলো উলটো স্রোত।

সমুদ্র সৈকতে ৮০% মৃত্যু এই রিপ কারেন্ট বা উলটো স্রোতের জন্যে হয়। এমনকি অস্ট্রেলিয়াতেও প্রতি বছর গড়ে ২২ জন মারা যায় রিপ কারেন্টের কারণে।

আমাদের দেশেও সমুদ্র সৈকতে যেই সব মৃত্যু হয়, তার বেশীর ভাগ এই রিপ কারেন্টের জন্যেই হওয়ার কথা। এবং সেন্টমার্টিনের মাথার দিকে যে সরু অংশ তাও রিপ কারেন্টের একটা বৈশিষ্ট্যের সাথে মিলে।

কারণ বাতাসের কারণে দুই দিকের পানি ধাক্কা দিয়ে এর মাথায় বা তার দুই পাশেই একটা রিপ কারেন্ট তৈরি করতে পারে। এইটা একটা মৃত্যুফাঁদ। এইখানে প্রাকৃতিক অবস্থানের কারণে অনেক বড় বড় চ্যানেল তৈরি হয়েছে যেইগুলো দিয়ে ঘন ঘন উলটো স্রোত বা রিপ কারেন্ট প্রবাহিত হওয়ার চান্স বেশী। যা শান্ত পানি দেখে নামা পর্যটকদের ভাসিয়ে নিয়ে যায়। তাই অবশ্য জেটি ঘাটে নেমেই উত্তরের বিচে ছবিতে চিহ্নিত স্থানে ভুল করেও না নামার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। যদিও সেন্টমার্টিন এর পানিতে নামার জন্য সব থেকে আকর্ষণীয় বিচ উত্তর বিচ। কিন্তু উত্তর-পূর্বের এই অংশেই আছে ভয়ংকর রিপ কারেন্ট। সেন্ট মার্টিনের এলাকাবাসি জানে এই এলাকায় সাঁতার কাটতে নাই। তাই সামনে কাউকে দেখলে এরা মানা করে। কিন্তু সেইটা সবার জানার সুযোগ হয় না। এই ভাবেই সামান্য অসাবধানতার কারণে অনেক পর্যটক মারা যায়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ