নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরীর সিনেমা ‘রিকশা গার্ল’। আলোচিত সিনেমাটি গত মাসে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল। মুক্তির পর ছবিটি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনীতে সাধারনত বিশেষ শ্রেনী পেশার মানুষরাই দাওয়াত পেয়ে থাকেন। তবে এই সিনেমাটি রিকশাচালক সংক্রান্ত গল্পের হওয়ায় এবার রিকশাচালকদের প্রদর্শনের জন্য বিশেষ শো এর আয়োজন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় কেরানীগঞ্জের জয় সিনেমাসের লায়ন শপার্স ওয়ার্ল্ড সিনেমাসে হবে এই প্রদর্শনী। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রদর্শনীতে শতাধিক রিকশাচালক উপস্থিত হবেন। থাকবেন সিনেমার নির্মাতা-শিল্পীরাও।
‘রিকশা গার্ল সিনেমার অভিনেত্রী নভেরা বলেন, যখন শুটি চলছিল তখনই এ ধরনের একটি পরিকল্পনা হয়েছিল। এটি বাস্তবে রূপ লাভ করতে যাচ্ছে। এর আগে মেড ইন বাংলাদেশ সিনেমাটির একটি প্রদর্শনী হয়েছিল গার্মেন্ট শ্রমিকদের নিয়ে। ওই শোতে আমি থাকতে পারিনি। আশা করছি,এবার প্রদর্শনীতে উপস্থিত হয়ে দর্শকের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করব। শো শেষে তাদের সঙ্গে কথা বলবো। সিনেমা নিয়ে তাদের মতামত শুনবো।
এদিকে, মুক্তির তিন সপ্তাহের মাথায় ‘রিকশা গার্ল’ উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে ওটিটিতে। আসছে ১২ ফেব্রুয়ারি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গতে দেখা যাবে সিনেমাটি।
ছবিটির গল্প তৈরি হয়েছে শিল্পীমনা নারী নাঈমাকে ঘিরে। ছবি আঁকতে পছন্দ করে সে। সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম বাবা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে স্রোতের প্রতিকূলে লড়াই শুরু হয় নাঈমার।
ছবি এঁকে যেহেতু পয়সা মেলে না, তাই উপায়ন্তর না পেয়ে রিকশা নিয়ে রাস্তায় বের হয় সে। জটিল হতে থাকে সিনেমার গল্প। প্রশ্ন এসে দাঁড়ায় নাঈমা কীভাবে তার স্বপ্ন পূরণ করবে। এখানে নাঈমা চরিত্রে অভিনয় করেছেন নভেরা রহমান। অন্যান্য চরিত্রে চম্পা, মোমেনা চৌধুরী, নরেশ ভূঁইয়া, অ্যালেন শুভ্র প্রমুখ। যুক্তরাষ্ট্রের লেখক মিতালি পারকিন্সের উপন্যাস অবলম্বনে ‘রিকশা গার্ল’ তৈরি হয়েছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ প্রযোজনায়। প্রযোজনা করেছেন এরিক জে অ্যাডামস, ফরিদুর রেজা সাগর, জিয়াউদ্দিন আদিল ও শিহাব আহমেদ সিরাজী।
করোনা মহামারির আগেই শেষ হয়েছিল ‘রিকশা গার্ল’র শুটিং। ২০২০ সালে মুক্তির কথা থাকলেও বদলে যায় পরিকল্পনা। দেশে মুক্তি না দিলেও এই দীর্ঘ সময়ে বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয় এটি। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কারও জিতেছে ‘রিকশা গার্ল’। দেশে সিনেমাটি মুক্তির আগ পর্যন্ত বিশ্বের ৩০টির বেশি আন্তর্জাতিক উৎসবে প্রদর্শনের পাশাপাশি ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ১৮ রাজ্যের ৫২টি শহরে এটি প্রদর্শিত হয়।