• বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৫৪ অপরাহ্ন

র‍্যাব-এনটিএমসি বিলুপ্তির সুপারিশ জাতিসংঘের

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) ও টেলিযোগাযোগ নজরদারির জাতীয় সংস্থা ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) বিলুপ্তির সুপারিশ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়। পাশাপাশি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) কর্মকাণ্ড সীমিত করার সুপারিশ করা হয়েছে।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জুলাই অভ্যুত্থানের সঙ্গে সম্পর্কিত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতন সংক্রান্ত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং প্রতিবেদনে এসব সুপারিশ করা হয়েছে।

জাতিসংঘের অনুসন্ধান দলটি জবাবদিহি ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত এবং সমস্যার মূল উৎস খুঁজে বের করতে ৫০টির মতো সুপারিশ করেছে।

সুপারিশে বলা হয়েছে, নিরপেক্ষভাবে কার্যকর, পক্ষপাতহীনতার সঙ্গে সব বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুমের ঘটনার তদন্ত করতে হবে। র‍্যাব ও এনটিএমসিকে বিলুপ্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এনটিএমসিকে বিলুপ্ত করার সুপারিশ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংস্থাটি নাগরিকদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা খর্ব করেছে।

অন্য সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে বাহিনীর কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ না থাকলে নিজ বাহিনীতে ফেরত পাঠানো; বিজিবি, ডিজিএফআইসহ গোয়েন্দা সংস্থার আইনি ক্ষমতার লাগাম টেনে ধরা; আনসার, বিজিবিকে সামরিক বাহিনী থেকে মুক্ত রাখা; অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে সামরিক বাহিনী অভ্যন্তরীণ যেকোনো পরিস্থিতিতে কতটা সময় কাজ করবে এবং মাঠে থাকবে, তা নিশ্চিত করা।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আছে, এমন সব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী তদন্ত করা।
জনতার বিরোধিতার মুখে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে সাবেক সরকার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নৃশংসতা চালিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক। তিনি বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নৃশংস প্রতিক্রিয়া ছিল সাবেক সরকারের একটি পরিকল্পিত এবং সমন্বিত কৌশল, যা জনতার বিরোধিতার মুখে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে করা হয়েছিল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ