ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে মার্চ-এপ্রিল দুই মাস লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৎস্য বিভাগ। তবে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় চলছে মাছ ধরার মহোৎসব।
জেলা শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারগুলোতে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে জাটকা ইলিশ। কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ আর মৎস্য বিভাগের যৌথ অভিযান, জেল-জরিমানা আর জাল পুড়িয়ে দেয়াতেও থেমে নেই তাদের মাছ ধরার এ মহাযজ্ঞ। গত ৯ মার্চ লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে মাছ ধরায় বাধা দিতে গেলে জেলেদের হামলায় তিন পুলিশসহ চারজন আহত হয়েছেন। পরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলেকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
লক্ষ্মীপুরে নিবন্ধিত জেলে রয়েছে ৩৮ হাজার কিন্তু চাল বরাদ্দ পাওয়া যায় ২৮ হাজার জেলেদের জন্য। খাদ্য সহায়তা বাড়ানোর জন্য ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। আর প্রকৃত জেলে যেন খাদ্য সহায়তা পায় সেজন্য জেলেদের তালিকাটি হালনাগাদ করা হয়েছে। আর কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ, মৎস্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে নিয়মিতই পরিচালিত হচ্ছে অভিযান। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি অভিযানে জেল-জরিমানা করা হয়েছে জেলেদের।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন
মেঘনা নদীর তীরবর্তী গ্রামীণহাট বাজারগুলোতেও দেখা গেছে, দেদারছে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ জাটকা ইলিশ ও নদীর অন্যান্য মাছ। জেলেদের দাবি সরকারি খাদ্য সহায়তা না পেয়ে পেটের জ্বালায় এবং ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতেই বাধ্য হয়ে নদীতে নামছেন তারা। অপরদিকে জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত খাদ্য সহায়তার চাল নিয়েও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ।
জেলে কামাল হোসেন জানান, নদীর জেলেরা জেলে কার্ড ও খাদ্য সহায়তা না পেলেও মৎস্য ব্যবসায়ী এবং চা ও মুদি দোকানী ও অন্যান্য পেশার লোকজনও পেয়েছেন জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত খাদ্য সহায়তার চাল।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন জানান, লক্ষ্মীপুরে নিবন্ধিত জেলে রয়েছে ৩৮ হাজার কিন্তু চাল বরাদ্দ পাওয়া যায় ২৮ হাজার জেলেদের জন্য। খাদ্য সহায়তা বাড়ানোর জন্য ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। আর প্রকৃত জেলে যেন খাদ্য সহায়তা পায় সেজন্য জেলেদের তালিকাটি হালনাগাদ করা হয়েছে। আর কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ, মৎস্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে নিয়মিতই পরিচালিত হচ্ছে অভিযান। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি অভিযানে জেল-জরিমানা করা হয়েছে জেলেদের।
ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা সফল হলে আগামী দিনগুলোতে নদীতে ইলিশের পরিমাণ বাড়বে তখন আরও বেশি মাছ পাওয়া যাবে। এতে করে জেলেদের সংকট দূর হবে বলে মনে করেন সচেতন মহল।