• বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ০১:১৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
মানুষ স্বাধীনতার সুফল ৫৩ বছরেও ভোগ করতে পারেনি: তারেক রহমান মিসরের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানালেন ঈদের নির্দিষ্ট তারিখ ফেসবুক পোস্টে যা বললেন তামিম সরকার বাংলাদেশকে ম্যানুফ্যাকচারিং হাব হিসেবে পরিচিত করতে চায় পাকিস্তানের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান: মির্জা ফখরুল মার্কিন সাহায্য কমিয়ে দেওয়ায় মৃত্যু হতে পারে বহু মানুষের বার্ড ফ্লু মহামারী ডেকে আনতে পারে , বিজ্ঞানীদের সতর্কবার্তা দিল্লির জবাবের অপেক্ষায় প্রস্তুত রয়েছে ঢাকা সোনাতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রিপ্রেজেনটেটিভদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ রুগী। সুযোগ এসেছে দেশ গড়ার, এটা হারাতে চাই না : প্রধান উপদেষ্টা

সুযোগ এসেছে দেশ গড়ার, এটা হারাতে চাই না : প্রধান উপদেষ্টা

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০২৫

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ এসেছে, আমরা এ সুযোগ হারাতে চাই না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে দুর্নীতি, গুম ও খুনের মাধ্যমে একটি ফ্যাসিবাদী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল দেশে। ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ দূর করে আমাদের নতুন একটি বাংলাদেশ উপহার দিয়েছে। এই বাংলাদেশ নতুন করে গড়ার সুযোগ আমাদের হাতে, আমরা এই সুযোগ হারাতে চাই না।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন তিনি। স্বাধীনতা যুদ্ধে সব বীর শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন প্রধান উপদেষ্টা।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের উদ্দেশ্য ছিল একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে আইনের শাসন থাকবে, মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত হবে এবং একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে এখনো ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যায়নি।

দীর্ঘদিন ধরে এদেশের মানুষকে তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। দুর্নীতি, লুটপাটতন্ত্র ও গুম-খুনের রাজত্ব চালিয়ে দেশে একটি ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা কায়েম করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আজকের অনুষ্ঠানে আমাদেরকে মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে, মরণোত্তর পুরস্কার দেওয়ার চাইতে জীবদ্দশায় পুরস্কার পেলে যে আনন্দ, দেশের জন্য, পরিবারের জন্য, ব্যক্তির জন্য; তা মরণোত্তর পুরস্কারে পাওয়া যায় না। যাকে আমরা সম্মান দেখাচ্ছি তিনি আমাদের সঙ্গে নেই।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা যেন আগামীতে একটা নিয়ম করতে পারি, যাদের মরণোত্তর পুরস্কার দেওয়ার তাদের পালা শেষ করে দিয়ে যারা জীবিত অবস্থায় আছেন তাদেরকে যেন পুরস্কার দেই। তাদের প্রতি সম্মানটা আমরা দেই।

এবার যারা স্বাধীনতা পুরুস্কার পেলেন তারা হলেন- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর), সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর), সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর), শিক্ষা ও গবেষণায় বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর এবং প্রতিবাদী তারুণ্যে আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর)।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ