দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল ফিতর। নাড়ির টানে রাজধানী ছাড়ছে মানুষেরা। ইতিমধ্যে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস ছুটি হয়েছে। ঈদুল ফিতর উদযাপনে শেষ সময়ে গ্রামে ফিরছে মানুষেরা। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়ছে। তবে আগের তুলনায় সেতুটি দিয়ে যানবাহন পারাপার ও টোল আদায় কমেছে।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাত ১২টা থেকে শনিবার (২৯ মার্চ) রাত ১২টা পর্যন্ত যমুনা সেতু পাড়ি দিয়েছে ৪৫ হাজার ৪৭৮টি যানবাহন। এসব যানবাহন থেকে টোল বাবদ আদায় করা হয়েছে তিন কোটি ২১ লাখ ৬৪ হাজার ৬০০ টাকা। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় সেতুটি পাড়ি দিয়েছিল ৪৮ হাজার ৩৩৫টি যানবাহন, যার থেকে ৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা টোল আদায় হয়েছিল।
রোববার সকালে যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল এ তথ্য জানিয়েছেন।
যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত ১২টা থেকে শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত সেতুর পূর্ব প্রান্তে উত্তরবঙ্গগামী লেন দিয়ে ২৯ হাজার ২৮৮ টি যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয় এক কোটি ৯০ লাখ ৪৫ হাজার ৭৫০ টাকা। অপরদিকে সেতুর পশ্চিম প্রান্তে ঢাকাগামী লেন দিয়ে ১৬ হাজার ১৯০টি যানবাহন পার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয় এক কোটি ৩১ লাখ ১৮ হাজার ৮৫০ টাকা।
ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষ ও গণপরিবহণের সংখ্যা আগের তুলনায় কমেছে। মহাসড়কটিতে যানবাহনের চাপ থাকলেও যানজটের সৃষ্টি হয়নি। ফলে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে বাড়ি ফিরছেন উত্তরাঞ্চলের ২৩ জেলার ঘরমুখো মানুষ।