বাগেরহাট প্রতিনিধি॥
বিশ^ ঐতিহ্য ম্যানগ্রোব সুন্দও বনের অতন্দ্র প্রহরী রয়েল বেঙ্গল টাইগার গণনা শুরু হবে আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার থেকে। এ দিন বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও সুন্দরবন দিবস একসঙ্গে পালন হচ্ছে । ২মাসের ও অধিক দিন ধরে ৪৭৮টি ক্যামেরা গুনবে সুন্দরবনের এই বাঘ। আনুষ্ঠানিকভাবে গণনার কার্যক্রম শুরু হবে হিরণ পয়েন্টের নীলকমল বনফাঁড়ি থেকে । বন বিভাগ ও ওয়াইল্ড টিমের মোট ৫৬ জন কর্মী ওই গণনায় কাজ করবেন। ক্যামেরায় ছবি তোলা ও খালে বাঘের পায়ের ছাপ গুনে চলবে এই গণনার কাজ । সুন্দরবনের মধ্যে ২৩৯টি গ্রিড পয়েন্টে এসব ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। ক্যামেরা পদ্ধতিতে সুন্দরবনের বাঘ গণনা জরিপ-২০১৫-এর ফলাফল অনুযায়ী বাঘের সংখ্যা ছিল ১০৬টি। এর আগে জরিপে বাঘের সংখ্যা বলা হয়েছিল ৪০০ থেকে ৪৫০টি। ২০১০ সালে বন বিভাগ ও ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাস্ট অব বাংলাদেশ যৌথভাবে সুন্দরবনের খালে বাঘের বিচরণ পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে ওই জরিপ চালায়। ২০০৪ সালে বন বিভাগ জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সহায়তায় বাঘের পায়ের ছাপ গুনে জরিপ করেছিল। এতে বাঘের সংখ্যা এসেছিল ৪৪০টি। ক্যামেরায় ছবি তুলে, খালে বাঘের পায়ের ছাপ গুনে ও তার গতিবিধির অন্য তথ্য-প্রমাণ ব্যাখ্যা করে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে এবারের জরিপের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মদিনুল আহসান সোমবার এই প্রতিনিদি কে বলেন, ম্যানগ্রোভ এই বনাঞ্চলে বাঘের সঠিক সংখ্যা কত তা জানতে ১৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের মাধ্যমে বাঘ গণনা শুরু হবে। ইউএসএআইডির অর্থায়নে বেসরকারি সংস্থা ওয়াইল্ড টিম সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছে সুন্দরবনে ক্যামেরা ট্রাপিং করবে। যেহেতু বেসরকারী সংস্থা সরকারি স্থানে কাজ করবে সেহেতু সরকার ও বন বিভাগের পক্ষ থেকে আমি ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে আছি। সমগ্র প্রোগ্রামটির আমি কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করছি। তিনি বলেন, বাঘের সংখ্যা নির্ণয়ের জন্য ক্যামেরা ফাঁদ (ক্যামেরা ট্রাপিং) এখন বিশ্বের সর্বাধুনিক পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে সুন্দরবনে বাঘের প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় করা যাবে।