• মঙ্গলবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:০৪ অপরাহ্ন

উল্লাপাড়ায় উন্নয়নে বদলে যাচ্ছে গ্রাম

আপডেটঃ : সোমবার, ২ এপ্রিল, ২০১৮

উল্লাপাড়া(সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি॥
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় গ্রামে উন্নয়ন হচ্ছে। গ্রামগুলো বদলে যাচ্ছে। বিভিন্ন গ্রাম্য সড়কপথ পাকাকরণ, নতুন রাস্তা নির্মান, খাল-নালায় ব্রীজ- কালভার্ট নির্মান হচ্ছে। এতে সহজ ও দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠছে। গ্রাম্য বসতিদের সুবিধা বাড়ছে। গ্রামের বসতিদের ঘরে ঘরে বিদ্যুতায়ন এবং সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর আধাপাকা ও নতুন পাকা ভবন নির্মান হচ্ছে। এরা নিজেদের বসতঘরের পুরানো অবকাঠামো বদলে নতুন ঘরদরজা নির্মান করছে। অনেকেই ইটের গাথুনির ঘরও নির্মান করছে। এদিকে গ্রামের বসতি বিভিন্ন পেশার জনগনের নিজস্ব আয় বেড়েছে। গ্রামগুলোয় শিক্ষার হার ও স্বাস্থ্য সচেতনতা বেড়েছে। সবমিলিয়ে গ্রামের বসতিদের জীবন যাপনের উন্নতির ছোয়া লেগেছে। এদের আর অভাবি ভাব থাকছে না। উল্লাপাড়া উপজেলার প্রায় সবকটি গ্রামেই এমন উন্নয়ন বদলের চিত্র দেখা মিলেছে।
উল্লাপাড়া উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টি ইউনিয়ন এলাকা স্বাভাবিক বন্যাতেই তিন থেকে সাড়ে তিন মাস পনিতে প্লাবিত হয়ে থাকে। ইউনিয়নগুলো-উধুনিয়া, বড়পাঙ্গাসী, মোহনপুর, কয়ড়া, দূর্গানগর ও বাঙ্গালা। এর মধ্যে মোহনপুর, উধুনিয়া ও বড় পাঙ্গাসী ইউনিয়নের সবচেয়ে বেশী এলাকা পানিতে তলিয়ে থাকে। এসব ইউনিয়নেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন হচ্ছে। উল্লাপাড়ার গ্রামগুলো বেশীর ভাগ পরিবার এখন তাদের কৃষি পেশার বাইরে বিভিন্ন পেশায় কাজ করছে।
সদর উল্লাপাড়া ইউনিয়নের গ্রামগুলো বেশ উন্নয়ন মূলক কাজ হচ্ছে। এ ইউনিয়নের নাগরৌহা গ্রামের যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় বেশ উন্নয়ন হয়েছে। এখন আরো হচ্ছে। প্রায় ৩৮ লাখ টাকা ব্যায়ে গ্রামটিতে এক কিলোমিটার দীর্ঘ ইটের সড়ক নির্মান কাজ চলছে। একই সময়ে বিভিন্ন ইউনিয়নে এমন আরো আটটি সড়কে নির্মান কাজ চলছে। নাগরৌহা গ্রামের কৃষক পরিবারের সন্তান হলেও বিভিন্ন বয়সের শতাধিক জন কাঠমিস্ত্রি, রাজমিস্ত্রি, রংমিস্ত্রি ও বিভিন্ন দিন আয়ের পেশায় কাজ করে। এছাড়া কৃষিপেশায় অনেকেই বাড়তি আয়ে সময় পেলে অন্য পেশাতেও কাজ করে। গ্রামটিতে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী বেড়েছে। এছাড়া কলেজ, হাইস্কুল ও মাদরাসায় ছেলে-মেয়ে মিলে শতাধিক জন পড়ালেখা করছে।
বাঙ্গালা ইউনিয়নে অভ্যান্তরিন যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ ও দ্রুত গড়তে একাধিক নতুন রাস্তা নির্মান করা হয়েছে। চলতি মাসে উল্লাপাড়ায় এডিপি ও রাজস্ব খাতে বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের প্রায় আড়াই কোটি টাকার দরপত্র আহব্বান করা হয়েছে।্
উল্লাপাড়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) থেকে জানা যায়, চলতি অর্থ বছরে উল্লাপাড়ায় এ বিভাগের অধিনে ২৭ কোটি ৩৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭শ ২ টাকা ব্যয়ে রাস্তা নির্মান, ব্রীজ নির্মান, প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মান কাজ শেষ পর্যায়ে এসেছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জিওবিএম প্রকল্পে ১২টি রাস্তা নির্মানে ৩ কোটি ২৪ লাখ ৪৪ হাজার ৮শ ৫৫ টাকা, কৃষকগঞ্জ গোথ সেন্টার নির্মান ৮৬ লাখ ৯০ হাজার টাকার বৃহত্তর পাবনা বগুড়া প্রকল্পে রাস্তা নির্মানে ৬ কোটি ৯৪ লাখ ৩৯ হাজার ৮শ ৩৯ টাকা, ব্রীজ নির্মানে ৬ কোটি ৭৭ লাখ  ৩৮ হাজার ৩শ ১১ টাকা ও পিইডিপি-৩ প্রকল্পে ৭ কোটি ৭ লাখ ২৯ হাজার ৯শ ২৮ টাকা ব্যয়ে ১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মান হচ্ছে।
অপর দিকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামীন সড়ক, কালভার্ট নির্মান ও অন্যন্যা অবকাঠামো নির্মানে ইতিমধ্যেই প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মাহাবুবুর রহমান ভূইয়া বলেন বর্তমান জাতীয় সংসদ সদস্য তানভীর ইমামের দিক নির্দেশনা মোতাবেক গ্রামগুলোর উন্নয়নে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিভিন্ন অবকাঠামোর নির্মান কাজ হয়ে আসছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আরিফুজ্জামান বলেন দেশ উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফলতা আসছে। পিছিয়ে থাকা জনগোষ্টির দিকে তাকিয়ে গ্রামীন অবকাঠামোসহ গ্রামের সব ক্ষেত্রেই উন্নয়নে জোড়ালো গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন গ্রাম উন্নয়ন হলে দেশের উন্নয়ন হবে। এ উন্নয়নের ধারা উল্লাপাড়ায় অব্যাহত থাকবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ