• বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:০৯ পূর্বাহ্ন

রংপুর নগরীতে মশার উপদ্রব ॥ মশা নিধনের ফগার মেশিন মাত্র ৪টি এর মধ্যে ২টি নষ্ট

আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৮

রংপুর অফিস॥
গরম পড়তে না পড়তেই নগরীতে বেড়েছে মশার উৎপাত। সিটি করপোরেশনের পর্যাপ্ত জনবল ও পর্যাপ্ত ফগার মেশিনের অভাবে মশা নিধন অভিযান না হওয়া এবং শ্যামাসুন্দরী ক্যানাল ও ড্রেনসমূহে যথাযথ সংস্কার না করাসহ নানা কারণে নগরীতে বাড়ছে মশার বংশ বিস্তার। এতে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকনগুনিয়ার মত বিভিন্ন মশাবাহিত রোগের আতঙ্কে ভুগছেন নগরবাসী। মশার উৎপাত বাড়ায় সন্ধ্যার পর মানুষের স্বাভাবিক কাজ কর্মে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে মশা।
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের জনস্বাস্থ্য বিভাগ শাখার তথ্য মতে, ২০৩ বর্গকিলোমিটার জুড়ে সিটি কর্পোরেশন এলাকায়  মশা নিধনের জন্য আছে মাত্র ৪ টি ফগার মেশিন । এর ২টি-ই বিকল। যার ফলে একসাথে সব এলাকায় ওষুধ স্প্রে করা সম্ভব হয়না। এক এলাকায় স্প্রে করলে মশা অন্য এলাকায় পালিয়ে যায়। ফলে মশার বিস্তার রোধ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না।
এদিকে মশার প্রধান উৎপত্তিস্থল শহরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত শ্যামাসুন্দরী খাল ঝোপ-জঙ্গলে ভরে যাওয়ায় নগরীতে মশার উপদ্রব বাড়ছে বলে জানিয়েছেন মূলাটোল, সেনপাড়া, মুন্সিপাড়া, কেরানিপাড়াসহ অনেক এলাকার বাসিন্দরা। তারা জানিয়েছেন, শ্যামাসুন্দরি খালটি মশার আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে। এছাড়া নগরীর বেশির ভাগ এলাকায় আবর্জনা ফেলার নির্ধারিত স্থান না থাকায় যেখানে-সেখানে আবর্জনা স্তূপ করে রাখছে নগরবাসী। এদিকে নর্দমাগুলোও নিয়মিত পরিষ্কার না করায় মশার দ্রুত বংশ বিস্তার হচ্ছে।
মশা নিধনের বিষয়ে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ না থাকায় ক্ষোভ জানিয়েছে নগরবাসি।
এ বিষয়ে নগর পরিকল্পনাবিদ পবিত্র কুমার বর্মন বলেন, একটি নগরীকে আধুনিক এবং নাগরিকদের বসবাস উপযোগী করে গড়ে তুলতে শুধু সিটি কর্পোরেশন এর উদ্যোগই যথেস্ট নয়, পাশাপাশি নাগরিকদেরও সচেতনমূলক ভূমিকা রাখতে হবে। তারই অংশ হিসেবে, মশা নিধনে স্বয়ং নগরবাসীকেও সহযোগিতা করতে হবে। বাড়ির উচ্ছিস্ট ময়লা শ্যামা সুন্দরীতে বা যেখানে সেখানে না ফেলে ডাস্টবিনে ফেলা উচিত।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আব্দুর রহিম বলেন, অ্যানোফিলিস মশা ম্যালেরিয়ার বিস্তার ঘটায়। বর্ষা আসার সাথে সাথে এখন মশার উৎপাত দিনে দিনে বেড়ে যাবে। এতে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়বে। বিশেষ করে ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ বাড়তে পারে।
তিনি আরো বলেন, বর্ষার শুরুর আগে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা খুব কম। তবে মশার উৎপাতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমাতে জনসচেতনতার পাশাপাশি পরিকল্পিত নগরায়ণের দিকেও জোর দিতে হবে।
জানতে চাইলে রসিক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, সিটি কর্পোরেশনের দুটি ফগার মেশিন নষ্ট হওয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। যেহেতু ফগার মেশিন এ দেশে পাওয়া যায় না, বাইরের দেশ থেকে কিনতে হয়। অতি দ্রুত ফগার মেশিন আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে এবং মশা নিধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ