রাজশাহী (তানোর-গোদাগাড়ী) প্রতিনিধি॥
ভিআইপি এই সংসদীয় আসনে আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী, তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, মুন্ডুমালা পৌর মেয়র ও গণমানুষের নেতা গোলাম রাব্বানী তৃণমূলে পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছে। রাজনীতি করে জীবীকা নির্বাহ নয়, দেশের স্বার্থে জনগণের কল্যাণে শৈশব থেকেই বংশীয় পরম্পরায় পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগের আদর্শে গড়ে ওঠা পরিচ্ছন্ন নেতৃত্বের প্রবক্তা গোলাম রাব্বানী বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ও গণমানুষের আস্থার প্রতিক একনিষ্ঠ আওয়ামী লীগের সফল নেতা। পৈতৃক সূত্রে পাওয়া নিজের সম্পদ সাধারণ মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিয়ে মানুষের সেবা দিয়ে চলেছেন ও পাশপাশি আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মকান্ডে সৌহার্দ-ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে ঈর্শ্বনীয় সাফল্য অর্জন করেছেন। আর সাধারণ মানুষ তাইতো তাকে বরেন্দ্র অঞ্চলের মান্ডেলা ও গণমানুষের নেতা উপাধি দিয়েছেন। এদিকে তানোর-গোদাগাড়ী নির্বাচনী এলাকায় রাব্বানীর প্রচার-প্রচারণা ও উঠান বৈঠকে সাধারণ মানুষের ঢল আবারো প্রমাণ করে আওয়ামী লীগের তৃণমূলে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে গোলাম রাব্বানী। অথচ রাজনৈতিক অঙ্গনে রাব্বানী বিরোধীশিবির বলে পরিচিতরা যখন লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেও জনসভা বা কর্মীসভায় জন-উপস্থিতি ঘটাতে ব্যর্থ হচ্ছে, সেখানে কোনো প্রচার-প্রচারণা বা পূর্বঘোষণা ব্যতিত রাব্বানীর প্রচারণায় জনমানুষের ঢল প্রমাণ করেছে তার মনোনয়ন প্রত্যাশার যৌক্তিতা ও যথার্থতা বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত। রাব্বানি প্রায় একটানা কুড়ি বছর জনপ্রতিনিধি হয়ে দায়িত্বপালন করে চলেছেন। একজন মানুষ কতটা জনপ্রিয় হলে এমনটি হতে পারে রাব্বানি তার জ্বলন্ত প্রমাণ। এমনকি এসব নির্বাচনে তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কারি প্রার্থীরা তার বিরুদ্ধে কখনই তেমন কোনো শক্ত প্রতিদন্দ্বিতাও করতে পারেনি। এসব বিবেচনায় তরুণ ও মেধাবী নেতৃত্ব গোলাম রাব্বানিকে এমপি প্রার্থী করা হলে যে কোনো প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদন্দিতা করে তার বিজয়ী হবার উজ্জ্বল সম্ভবনা রয়েছে বলেও তৃণমূলের অভিমত। জানা গেছে, বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী ও দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি দলমত নির্বিশেষে সাধারণের মানুষের পাশে থেকে তাদের বিপদে-আপদে সাহায্য-সহযোগীতা করে চলছেন। নির্বাচনী এলাকায় ইসলামি জালসা, সনাতন ধর্মালম্বীদের হরিবাসর-দুর্গোৎসব, খ্রিষ্টানদের ধর্মালম্বীদের বড়দিন, বিভিন্ন খেলাধূলা, মসজিদ-মাদরাসা,মন্দীর-গীর্জা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, পারিবারিক-সামাজিক, দরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়ের বিয়ে-সাদি-শিক্ষা গ্রহণ ও চিকিৎসা ইত্যাদি ক্ষেত্রে সাহায্যে-সহযোগীতা করায় তিনি ইতমধ্যে সাধারণ মানুষের কাছে থেকে দানবীর ও বরেন্দ্র অঞ্চলের মান্ডেলা উপাধি পেয়েছেন। নির্বাচনী এলাকার দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ কোনো বিপদে পড়ামাত্র পরিত্রাণের আশায় ছুটে যায় রাব্বানি ও তার পরিবারের কাছে। বিপদ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া না পাওয়া বড় কথা নয় রাব্বানি এসব মানুষের কথা শোনেন মনোযোগ সহকারে সাধ্যমত চেস্টা করেন এবং না পারলেও তাদের গায়ে হাত বুলিয়ে পথ দেখিয়ে দেন। এসব কারণে এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ রাব্বানিকে তাদেরই পরিবারের একজন বলে দাবি করেন। আর এসব বিবেচনায় এবার এই অঞ্চলের সাধারণের মানুষের একটাই দাবি তাদের প্রাণপ্রিয় এই নেতাকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন দিয়ে এমপি নির্বাচিত করে সংসদে দেখতে চাই।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের তৃণমূল ও সাধারণ মানুষের দাবি তারা কোনো সমস্যায় পড়লে আওয়ামী লীগের সিংহভাগ নেতার সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাত তো দুরের কথা মুঠোফোনেও যোগাযোগ করতে পারেন না হয় বন্ধ থাকে নয়তো রিসিভ করেন না। অথচ রাব্বানির সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলা তো মামুলি বিষয় যে কোনো সময় তার সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাত করে সমস্যার কথা বলা যায়। তৃণমূলের দাবি, ইতমধ্যে তারা অনেক এমপি বা মন্ত্রী দেখেছেন তবে তারা তাদের তেমন কোনো উপকারে আসেনি বললেই চলে। তাই এবার তারা এমপি বা মন্ত্রী দেখতে চান না তারা চান আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কর্মী ও জনবান্ধব নেতা যার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী হবে, আবার তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সহজেই সেই নেতার সাক্ষাত পাবে। সাধারণ মানুষ বা নেতাকর্মীদের সমস্যার সমাধান বড় কথা নয় তারা সহজেই নেতার সঙ্গে কথা বলতে পারবেন, আবার নেতাও তাদের কথা মনোযোগ সহকারে শুনবেন তারা এমন নেতাকে এমপি প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাই। আর এসব বিবেচনায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে গোলাম রাব্বানি অপ্রতিদ্বন্দ্বী নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। এদিকে ইতমধ্যে আওয়ামী লীগ বিরোধীরাও রাব্বানি সাম্ভব্য প্রার্থী বিবেচনা করে তাকে ঠেকাতে নানা পরিকল্পনা ও চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে বলেও নির্বাচনী এলাকায় প্রায় প্রতিটি মানুষের মূখে মূখে প্রচার রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাজশাহী-১ (তানোরে-গোদাগাড়ী) সংসদীয় আসনের নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের তৃণমূলের রাজনীতিতে প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও (সাবেক) পাঁচন্দর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী মাহাম পরিবার ও তাঁর পুত্র গোলাম রাব্বানীর বিকল্প তেমন কোনো নেতৃত্ব এখনো গড়ে উঠেনি সেই সম্ভবনাও নাই। মাঠপর্যায়ের তৃণমূলের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার জরিপের ভিত্তিত্বে ইতমধ্যে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড আওয়ামী লীগের (সাম্ভব্য) দলীয় প্রার্থী হিসেবে গোলাম রাব্বানীকে মাঠে নামার জন্য সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন। হাইকমান্ডের সবুজ সঙ্কেত পেয়ে নির্বাচনী এলাকায় ইসলামী জালসা, ফুটবল-ক্রিকেট-ভলিবল ইত্যাদি আয়োজন ও প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে দলের নেতাকর্মীদের নৌকার পক্ষে কাজ করার জন্য সক্রিয় করতে ব্যাপক প্র¯ত্ততি নিয়ে এগুচ্ছে আবার মূলত রাব্বানীকে ঘিরেই তৃণমূলে দলের রাজনীতি আবর্তিত হচ্ছে। অথচ এমন জননন্দিত ও তারকাখ্যাতি সম্পন্ন রাজনৈতিক নেতাকে মাইনাস করার পরিকল্পনা ও প্রাসাদ ষড়যন্ত্র চলছে কার স্বার্থে ?। এদিকে গোলাম রাব্বানীর আমন মহিমায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নিজের শক্ত অবস্থান তৈরীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কর্মকান্ড গতিশীল করতে নিরবে কাজ করে চলেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী তথা বৃহত্তর বরেন্দ্র অঞ্চলের অন্যতম রাজনৈতিক সচেতন ও সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে গোলাম রাব্বানির জন্ম তিনি বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী। ব্রিটিশ আমল থেকে এখানো গোলাম রাব্বানির পরিবারের কেউ না কেউ জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। গোলাম রাব্বানির দাদা প্রয়াত হাজী কবির উদ্দীন মন্ডল পঞ্চায়েত প্রধান ও ইউপি প্রেসিডেন্ট হিসেবে এক টানা প্রায় ৩৫ বছর নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার হাত ধরেই তার পুত্র প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোহাম্মদ আলী মাহাম পাঁচন্দর ইউপিতে একাধিকবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে ও ৭৫ থেকে ৯২ সাল পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি প্রায় সাড়ে ৮ একর সম্পত্তি দান করে ফুটবল মাঠ তৈরী ও সাড়ে ৩ একর সম্পত্তি দান করে সেখানে একটি প্রাথমিক ও একটি উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন করেছেন। আবার কলমা ইউপির কন্দপুরে তিন একর জমি দান করে কন্দপুর স্কুল নির্মাণ করেছেন। তার হাত ধরেই তার সুযোগ্য পুত্র গোলাম রাব্বানী দু’বার পাচন্দর ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এবং পরবর্তীতে দু’বার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়ে এখানো দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। তিনিও প্রায় সাড়ে ৩ একর সম্পত্তি দান করে সেখানে প্রকাশ আদর্শ গ্রাম করেছেন। এছাড়াও তিনি প্রায় ১০ বছর ধরে রাজশাহী জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বপালন করেছেন। তিনি ছাত্র জীবনে রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তানোর-গোদাগাড়ীর রাজনৈতিক অঙ্গনে বহুল আলোচিত নাম গোলামা রাব্বানি, দলমত নির্বিশেষে সবার কাছে তিনি ‘রাব্বানি ভাই’ বলে পরিচিত, সবার কাছে তিনি একজন সৎ নেতা ও রাজনীতিকের প্রতিকৃতি, এই অঞ্চলের মানুষ রাজনীতিতে সৎ নেতার উদাহারণ দিতে গিয়ে সবার আগে গোলাম রাব্বানির নামটি উচ্চারণ করেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি যেমন বিলাস বিমূখ সাদামাটা, তেমনি কর্মী ও জনবান্ধব রাজনৈতিক নেতা হিসেবেও সর্ব মহলে প্রশংসিত। তাঁর কার্যালয় বা বাড়িতে গিয়ে অন্তত্ব এক কাপ চা পান করেননি এলাকায় এরকম একজন মানুষকেও খুঁজে পাওয়া দুঃস্কর। আবার বিভিন্ন আবদার নিয়ে তার কাছে গিয়ে তার আচরণে দুঃখ-কষ্ট পেয়েছেন এমন এক জনকেও খুজে পাওয়া যাবে না। এমনকি বিরোধীমতের রাজনৈতিক দলের নেতা ও কর্মী-সমর্থকরা ‘রাব্বানি’ ভাই সম্বোধন করে খুব সহজেই তার কাছে গিয়ে যে কোনো সমস্যা তুলে ধরে সহযোগীতা চাইতে পারেন। রাব্বানি এখনও তার নেতৃত্বের গুণে সফল নেতা হিসাবে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের কাছে সমান জনপ্রিয়। এসব সংগঠনের নেতাকর্মীরা এখনো তকেই তাদের প্রতিনিধি মনে করেন এবং তাদের যে কোনো সমস্যায় ছুটে আসেন তাঁর কাছেই। সমস্যার সমাধান পাওয়া না পাওয়া বড় কথা নয়, কিšতু রাব্বানি তাদের কথা শুনেন, চেস্টা করে সেটা পুরুণের না পারলেও কখনো কউকে কস্ট দিয়ে কথা বলেন না বরং নিজে না পারলেও পথ দেখিয়ে দেন। রাব্বানি দলের একজন পরীক্ষিত নেতা। উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড যেখানেই তিনি যান সেখানেই সাধারণ নেতাকর্মীদের মাঝে মিশে যান। তিনি তাদেরই প্রতিনিধি হিসাবে শোনেন সুখ-দুঃখ ও বঞ্চনার কথা। রাব্বানির মতে তৃণমুল নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ। তারা সুবিধা পেতে দৌড়ে যান না বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভরসাও তারাই। অথচ তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অবৈধ সম্পদ আহরণের সুযোগ বিপুল সময় ও সুযোগ থাকলেও তিনি এখানো সেই পথে পা বাড়াননি। কিšত্ত তার পরে এসেও অনেক নেতা টেন্ডারবাজি, নিয়োগ বাণিজ্য, কালো ব্যবসা ও তদ্বির বাণিজ্য ইত্যাদির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করে বিপুল বিত্তবৈভব গড়ে তোলেছেন এমনকি ঢাকা ও রাজশাহী শহরে বাড়ি-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়েছেন বলেও প্রচার রয়েছে।