• বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:৫১ পূর্বাহ্ন

কালগিঞ্জ ভূমহিীন নতো সোলায়মান হত্যা রহস্যময়

আপডেটঃ : রবিবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৮

এস. কে. কামরুল হাসান (সাতক্ষীরা প্রতিনিধি)

সাতক্ষীরা কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা ইউনিয়নের ঝায়ামারী গ্রামে নিহত ভূমিহীন ও আওয়ামীলীগ নেতার হত্যাকান্ড এখন ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা এস আই নয়ন চৌধুরী এবং সি আই ডি এস আই হুমায়ুন কবির আসামীপক্ষের নিকট থেকে মোটা অংকের বিনিময় আসামী পক্ষকে শিথিল করে বাদী পক্ষকে আকড়ে ধরার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
ভূমিহীন নেতা সোলাইমান কালিগঞ্জ থানার ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।১০৭ বিঘা জমিজমা সংক্রান্ত শত্রুতার জের ধরে তাকে পরিকল্পনা মাফিক হত্যা করা হয়েছে বলে সচেতন মহলের অভিমত।

সোলাইমানের স্ত্রী আয়েশা খাতুনের ভাষ্য অনুযায়ী একই গ্রামের ওহাব পেয়াদা সহ অনেকের সাথে সোলায়মানের জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এ ঘটনার জের ধরে গত বছর ১৯ শে নভেম্বর ২০১৭, দিবাগত রাতে সন্নাসীর চকের সাহেব আলীর দোকান থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ডেকে আশাশুনি উপজেলার কইখালী গ্রামে তাকে জবাই করে হত্যা করা হয়।

এঘটনার পরদিন সোলাইমানের ছোট ভাই সামিউল্লাহ বিদী হয়ে ওহাব পেয়াদাসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে আশাশুনি থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করে।এমামলায় প্রকৃত আসামীরা কৌশলে ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যায়।এ মামলার এজাহার ভূক্ত আসামীদের মধ্যে ৯ জন মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে জেলা ও দায়রা জ্জ আদালতে হাজির হয়ে আবেদন করলে ৭ জন জামিন লাভ করে। ঐ সময় সেলিম পেয়াদা ও জলীল পেয়াদার জামীন না মঞ্জুর থাকে।
২০১৭ সালে ২৩ ডিসেম্বর মামলার তদন্তভার সি আই ডি অর্গানাইজ ক্রাইম উপপরিদর্শক হুমায়ন কবিরের উপর ন্যাস্ত হয়।২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের ১ম সপ্তাহে হুমায়ন কবির মামলার বাদী সামিউল্লার কাছে ৫ লাখ টাকা দাবী করে।টাকা না দিলে মামলা উল্টে দেওয়ার হুমকি দেন তদন্ত কারী সি আই ডি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির।এ বিষয়ে সি আ ই ডি কর্মকর্তা জানিয়েছে, এ সব মিথ্যা।এত অবিশ্বাস যখন আমি খুব শীঘ্র আই, ও  এর দায়িত্ব ছেড়ে দেব।
পুলিশ কর্মকর্তা নয়ন চৌধুরীর মোবাইল ফোনে বার যোগাযোগ করলেও ফোনটি বন্দ পাওয়া যায়।
গত ১৯ শে নভেম্বর সোলাইমান হত্যা সংঘটিত হয়।২০ নভেম্বর আশাশুনি থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়। এস আই নয়ন চৌধুরীর উপর এ দায়িত্বভার অর্পিত হয়।এ সময় নয়ন চৌধুরী মোবাইল মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে ৫ টি নাম বের করেন।সে গুলো হল আব্দুল ওহাব পেয়াদা পিতা তালেব পেয়াদা,মুজিত পিতা মোবারক গাজী,আজিজুল পিতা সুজাউদ্দীন,আজহারুল পিতা মোস্তফা ঢালী,এবাদুল গাজী পিতা রহমতুল্লাহ।
এ হত্যা কান্ডের মূল হোতা মোস্তফা ঢালীর পুত্র আজহারুল ঢালী।এই মামলার ১নং সাক্ষী  ইউ পি সদস্য ফারুক হোসেন কে গ্রেফ্তার করে উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপাতে চায়।
বাদী সামিউল্লাহর ভাষ্য অনুযায়ী,সি আই ডি হুমায়ন কবির বলেন,ওহাব পেয়াদাকে বাদ দাও তাহলে সন্নাসীর চকের আজহারুলের মাধ্যমে ১৬৪ধারা জবান বন্দী দেওয়ার ব্যবস্থা করব।সি আই ডি হুমায়ন কবির বলেন,আমি আজহারুলকে খুলনা থেকে গ্রেফতার করেছি।এ দিকে আজহারুল বলছে আমি সাতক্ষীরা বিচরিক হাকিম রাজীব রায়ের খাস কামরায় সেচ্ছায় হাজির হয়েছি।আজাহারুল হাজির হয়ে সোলাইমান হত্যার প্রত্যক্ষ দর্শীসহ কাল্পনিক জবান বন্দী দেয়।সেই সুত্র ধরে ইউপি সদস্য ফারুক হোসেনকে ডেকে নিয়ে গ্রেফতার করেন সি আই ডি হুমায়ুন কবির।
আজহারুরলকে রিমান্ডের ব্যবস্থা করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে বলে সচেতন মহলের অভিমত।দীর্ঘ ৪ মাসেও ঘটনার সত্যতা মেলে নি।সোলায়মানের ছেলে শাহিনের ভাষ্য,আমার বাবাকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছে আর আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।
বিষয়টির সুষ্ঠ তদন্ত পূবর্ক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন হত্যা মামলার বাদী সামিউল্লাহ ও তার ছেলে শাহিন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ