ময়মনসিংহ(ভালুকা) প্রতিনিধি॥
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার মল্লিকবাড়ী, ডাকাতিয়া, হবিরবাড়ী ইউনিয়নের বোরো ধান ক্ষেতে নেক ব্লাষ্ট (ধানের গলাপচা) রোগের আক্রমন দেখা দিয়েছে। কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোনো লাভ না হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে এবার ভালুকা উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ১৮হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েেেছ। হঠাৎ প্রতিকূল আবহাওয়ায় কয়েকটি ইউনিয়নে এ রোগ ছড়িয়ে পরছে। এ রোগের প্রভাবে ক্ষেতের ধানের শীষ আস্তে আস্তে সাদা হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। ধান চিটা হয়ে যাচ্ছে।
ভালুকার মল্লিকবাড়ী, ডাকাতিয়া, হবিরবাড়ী সহ বিভিন্ন মাঠ ঘুরে কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেক জমির বোরো ধানের শীষ সাদা হয়ে গেছে। শীষের গোড়ায় প্রথমে এই রোগ দেখা দিয়ে ক্রমান্বয়ে তা পুরো শীষকে গ্রাস করে। কৃষকরা জানান,মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা ড্রীমল্যান্ড, নীমপ্যাড, ইয়নসহ বিভিন্ন কোম্পানীর কীটনাশক সাজেশন করে দিচ্ছে । তা বারবার প্রয়োগ করেও কোন প্রতিকার মিলছে না। এ অবস্থায় কৃষকেরা দুশ্চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
উপজেলার মল্লিকবাড়ী গ্রামের লোহাবৈ মৌজায়, ভায়াবহ গ্রামে ডাকাতিয়ার পাঁচগাঁও, ছিটালপাড়া, হবিরবাড়ীর মনোহরপুর, লবণকোটা, পাড়াগাঁও গ্রামের অধিকাংশ বোরো ক্ষেতে এই রোগ দেখা দিয়েছে।
উপজেলার ভায়াবহ গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ আলী বলেন, আমার ৩০ কাঠা জমিতে ২৮ জাতের ধান । গাছ দেখে মনে হয়েছিলো ফলন ভালো হবে। কিন্তু হঠাৎ করে এই রোগ আমার ক্ষেতে ধরে ক্ষেত নষ্ট করে ফেললো। আমি ৫ বার কীটনাশক স্প্রে করেও কোন প্রতিকার পাইনি।
উপ সহকারী (মল্লিকবাড়ী ব্লক) কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সিরাজ মিয়া বলেন, আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করছি এই রোগ সারাতে, কিন্তু নদীর কালো পানির জন্য তা বার বার ব্যর্থ হচ্ছি। তবে কমদামের নিন্ম মানের কীটনাশক দেওয়ার অভিযোগটি সত্য নয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার পাল জানান, এই রোগটা ব্যাপকহারে হয়েছে তা ঠিক না। তবে কয়েকটি ইউনিয়নের কৃষকের ক্ষেত নষ্ট হয়েছে তা জানি। আমরা এ ব্যাপারে কীটনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দিচ্ছি ।