• বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:৫২ পূর্বাহ্ন

সাতক্ষীরা বাবুলিয়ায় সনি ব্রিকস ইট ভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ

আপডেটঃ : সোমবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৮

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি॥ পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই ৯৬ টি ভাটায় ফলজ ও বনজ কাঠ পোড়ানোর মহোৎসবে মেতে উঠেছে সাতক্ষীরার বাবুলিয়া এলাকায় সনি ব্রিকসের পরিচালক মো ঃ সিরাজুর ইসলাম এর পরিচালনায় তিন ফসলী জমিতে গড়ে তুলেছে কাগজ পত্র হীন অবৈধ্য সনি ব্রিকস ইট ভাটা। এছাড়া অধিকংশ ভাটা মালিকরা নিয়ম নীতির ত্বোয়াক্কা না করে প্রশাসন কে ম্যনেজ করে জ¦লাচ্ছে কাঠ । আর এ অবৈধ থেকে ইট ভাটা থেকে অর্ধ কোটি টাকা মৌসুমী চাঁদা নিয়ে বৈধতা দিয়েছে বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি সাতক্ষীরা জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক রেজাউল ইসলাম। ইট ভাটা মালিকরা ঐ নেতাকে ভাটাপ্রতি বাৎসরিক ২০ হাজার টাকা আর লাইসেন্স বিহীন ভাটার জন্য ৪ লক্ষাধিক টাকা দেওয়া হয় বলে সূত্রে জানা যায়। ফলে মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদককে দেওয়া চাঁদার বলে জেলার ইট ভাটাগুলিতে নিয়মনীতি তে¦ায়ক্কা না করে ফলজ ও বনজ কাঠ পুড়িয়ে পরিবেশের মারাত্মক জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে এইসব অসাধু ব্যবসায়ীরা। তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, জেলার মোট ইট ভাটা ১৮৪টি। এর মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র রয়েছে ৮৮টির। বাকী ৯৬টি ইট ভাটার কোন ছাড়পত্র না থাকলেও সাধারন সম্পাদক রেজাউল ইসলাম প্রতি মৌসুমে তাদের কাছ থেকে অর্ধকোটি টাকা চাঁদা আদায় করে এর বৈধতা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে চাঁদার একটি ভাগ পৌছে দেয়ায় অবৈধ ইট ভাটা মালিকরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ইট প্রস্তুত ও ইট ভাটা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে তারা পরিবেশের যে মারাত্মক ক্ষতি সাধন করছে তা মানব জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ। পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রন আইন (২০১) তে সুস্পস্টভাবে উল্লেখ করা আছে যে, জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স ব্যতিত কোন ব্যক্তি ইট ভাটায় ইট প্রস্তুত করতে পারবে না। কিন্তু সাতক্ষীরা জেলায় লাইসেন্স ছাড়াই চলছে ইট ভাটা। ঐ আইনে আরও উল্লেখ করা আছে ৩ কিলোমিটারের মধ্যে ৫০ঘর বসতি এলাকা ফলজ ও বনজ বাগান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলে ইট ভাটা অনুমোদন হবে না। কিন্তু এ জেলার প্রত্যেকটি ইট ভাটা গড়ে উঠেছে ঘনবসতি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ফলজ-বনজ বাগানের নিকটেই। এছাড়া ২০১৩ সালের আইনে স্থায়ী চিমনির উপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এ জেলায় স্থায়ী চিমনির ভাটাই বেশি। ঝিকঝাঁক ভাটার সংখ্যা মাত্র ৩৪টি। এছাড়া সম্পূর্ণ আইন বহির্ভূর্তভাবে এখনো চলছে টিনের চিমনি দিয়ে ইট পোড়ানোর মহোৎসব। ইট পোড়ানোর জন্য কাঠের ব্যবহার সম্পূর্ন নিষেধ থাকলেও সাতক্ষীরা জেলার বেশিরভাগ ভাটায় হর হামেশেই লক্ষ লক্ষ ঘনফুট ফলজ ও বনজ কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। এ বিষয়ে খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. আনোয়ার মল্লিক বলেন, এ রকম অীভযোগ আমাদের কাছে বহু আছে। গত বছর ২৬ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং আমাদের অভিযান অব্যহত আছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ