• শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:২০ পূর্বাহ্ন

তালাক দেওয়া স্ত্রীর সাথে দৈহিক সম্পর্কের অপরাধে প্রধান শিক্ষক কারাগারে

আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ২২ মে, ২০১৮

বাগেরহাট প্রতিনিধি॥
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার মালসা গ্রামে তালাক দেয়া স্ত্রীর সাথে দৈহিক সম্পর্কের  অপরাধে প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম রুবেলকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। তালাক দেওয়া স্ত্রীর সাথে প্রতারনার মাধ্যমে ধর্ষন ও সাহবাসের অপরাধে সাবেক স্ত্রী শাহিদা আক্তার হেলী পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলায় দায়ের করে।ওই মামলায় মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ গত ১৩ মে শরণখোলা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে পিরোজপুর জেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরন করা হলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয়। নজরুল ইসলাম রুবেল শরণখোলা উপজেলার ৭০নং মধ্য নলবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তাদের নওশিন ইসলাম রথি নামের ৯ বছর বয়েসী একটি কন্য সন্তান রয়েছে।
সাবেক স্ত্রী শাহিদা আক্তার হেলীর দায়ের করা মামলা সূত্রে জানাযায়, গত ২০০৫ সালের ২৭ এপ্রিল শাহিদা আক্তার হেলীর সাথে শিক্ষক নজরুল ইসলাম রুবেলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবীতে বিভিন্ন সময় নজরুল ইসলাম রুবেল তার স্ত্রী শাহিদা আক্তার হেলীর উপর অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকে। এক সময় নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গত ২০০৯ সালে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানায় শাহিদা আক্তার তার বিরুদ্ধে একটি যৌতুক মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার নজরুল ইসলাম রুবেলের দুই বছরের সাজা হলে সে শাহিদা আক্তার হেলীকে তালাক দেয় এবং জনৈকা সাবিনা ইয়াসমিন নামের এক জনকে বিবাহ করে। সুয়োগ বুঝে রুবেল তার প্রথম স্ত্রী হেলীর সাথে মিমাংসার প্রস্তাব দেয় হেলী তার গর্ভজাত সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায়। এর মধ্যে রুবেল কৌশল করে হেলীকে তার পিতার বাড়ীতে রেখে স্বামী-স্ত্রীর মত বসবাস করতে থাকে। কথিত এ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে রুবলে হেলীকে বৈধ স্ত্রী এবং অভিষ্যতেও থাকবে বলে অঙ্গিকার করে। পরবর্তিতে রুবেল হেলীকে সাথে নিয়ে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল মামলা নিস্পত্তি করে এবং হেলীর সাথে তার পিত্রালয়সহ বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও বিভিন্ন স্থানে স্বামী-স্ত্রীর মত বসবাস করতে থাকে। এর মধ্যে গত জানুয়ারীর ৬ তারিখ রুবেল মোবাইল ফোনে হেলীকে জানান তার সাথে কোন সম্পর্ক নেই এবং গত ২০১৬ সালের ১২ আগষ্ট তাকে তালাক দিয়েছেন। পরে শাহিদা আক্তার হেলী তালাক দিয়ে প্রতারনার মাধ্যমে ধর্ষন ও সহবাসের অভিযোগ এনে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ১৪, তারিখ- ১২/০৫/২০১৮ ইং, থানা- মঠবাড়িয়া, জেলা- পিরোজপুর।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ