• শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:১৫ পূর্বাহ্ন

কালিয়াকৈরে ফতেপুর ভুমি অফিস চলে ওমেদার নামের দালাল

আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ২৪ মে, ২০১৮

 

কালিয়াককৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি॥

গাজীপুরের কারিয়াকৈরের ফতেপুর কাচারী চলে ওমেদার নামের দালাল দিয়ে।অফিসের পিয়ন থাকা সত্বেও তার কাছে চাবী না রেখে  রাজিয়া ও মাহাবুব নামের ওমেদারের কাছে চাবী রেখে অফিস পরিচালনা করেন নায়েব সহিদুল ইসলাম। মঙ্গলবার ১২টায় সরেজমিনে ফতেপুর ভুমি অফিসে গিয়ে নায়েবকে পাওয়া যায়নি। দেখাযায় অফিস চালাচ্ছে ওমেদার রাজিয়া ও মাহাবুব নামের দালাল । ওমদারগন নায়েবের চেয়ারের পাশের চেয়ারে বসে কাজ করতে দেখাযায় ওমেদারদের।।অফিস চলছে   ওমেদার দিয়ে।

সংশ্লিষ্টসুত্রে জানাগেছে অফিসের চাবী থাকে ওমেদারদের কাছে।সরকারী নিয়ম অনুযায়ী অফিসের চাবী নায়েবের কাছে থাকার কথা। তবে বিশেষ কোন কারনে পিয়নের কাছেও থাকতে পারে । নায়েব কি কারনে অফিসের পিয়নের কাছে চাবী না রেখে ওমেদারদের কাছে রাখেন তা নিয়েও জনমনে প্রশ্ন দেখাদিয়েছে।ওমেদারদের কাছে অফিসের চাবী থাকার কোন নিয়ম নেই।ওমেদারদের কাছে চাবী থাকায় তারা ভুমি অফিসের অনেক গোপন নথিপত্র চুরি করাসহ ভলিয়ম ফটোকপি করে নিতে পারে।সরকারী স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অনেক নথি রয়েছে যা চুরি হলে সরকারের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। ওমদামদের কাছে চাবী থাকায় সরকারী স্বার্থ সংরক্ষন হুমকির মুখে পড়েছে। ।এতে ক্ষতি হচ্ছে এলাকার জনগনসহ  সরকারের।

একজনের নামের খারিজের পর্চাদিয়ে অন্য জনকে খারিজ করে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে নায়েব সহিদুল ইসলাম ও ওমেদারদের বিরুদ্ধে।

গাছবাড়ি এলাকার মোঃ হাবিজ উদ্দিন জানায় নায়েব শহিদুল ইসলাম ও ওমেদার রাজিয়া  মোটা অংকের বিনিময়ে তার নামের জমি একই এলাকার মতি মিয়ার নামে খারিজ করে দিয়েছে। এলাকাবাসী জানায় এসকল ওমেদারদের কারনে এলাকায় জমি সংক্রান্ত নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।ভুমি অফিসে দালালী করে ওমেদার বা দালালরা অনেকে বাড়ি গাড়িসহ লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক বেনে গেছে।জমি খারিজের আবেদন কারী সেজে সরেজমিনে ফতেপুর ভুমি অফিসে গেলেই বুঝা যাবে ইউনিয়ন ভুমি অফিসে দালালদের দৌরাত্ব কত।

এব্যাপারে ফতেপুর কাচারীর সহকারী ভুমি উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ সহিদুল ইসলাম জানায় উপজেলা ভুমি অফিসেও ওমেদার দিয়ে কাজ করায়।এছাড়া ডিসি অফিসেও ওমেদার দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে।শুধু আমাকে দুষ দিয়ে লাভ কি।এছাড়া তিনি সপ্তাহে তিনদিন ফতেপুর অফিসে কাজ করেন।বাকি তিনদিন অন্য অফিসে বসেন।

এছাড়া তহশীল অফিসের জমিতে ১৯৯৬/৯৭সনে রোপনকৃত কাঠ বাগানের একটি কড়ই ও সাদা ম্যলেরিয়া গাছ ঝড়ে ফেলে দিলে ওই গাছের ডালপালা সরকারী কোন নিয়ম নীতি না মেনেই বিক্র করে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে নায়েব সহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ।

বিষয়টি কালিয়াকৈর উপজেলা ভুমি অফিসের সহকারী কমিশনারকে জানিয়েও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।ভুমি অফিস থেকে ওমেদার নামে দালালদের বিতারিত করে  জমির মালিকদের দালালমুক্ত পরিবেশে জমির সঠিক খারিজ সম্পাদনের দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।

এব্যাপারে কালিয়াকৈর উপজেলা ভুমি অফিসের সহকারী কমিশনার ভুমি শাহ মোঃ শামসুজ্জোহা জানায় কোন অফিসের চাবী ওমেদারদের কাছে থাকার কোন নিয়ম নেই।বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ