পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি॥
জয়পুরহাট জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি অধক্ষ্য খাজা সামছুল আলম ও তার ছেলের বিরুদ্ধে সম্পত্তি জবর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে ওই আওয়ামীলীগ নেতার আপন ভাগ্নে জয়পুরহাট জেলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
জয়পুরহাট জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি অধক্ষ্য খাজা সামছুল আলমের ভাগ্নে ও সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে মাহবুব আহাদ খান রাসেল সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ করেন। এ সময় রাসেলের বোন শাম্মি আক্তার, ফরিদা আক্তারসহ গন্যমান্য ব্যাক্তিগন উপস্থিত ছিলেন।
রাসেল অভিযোগে বলেন, তাদের মামা চাকুরী সূত্রে জন্ম স্থান সিরাজঘঞ্জের কান্দাপাড়া গ্রাম থেকে স্থানান্তরিত হয়ে জয়পুরহাট শহরের শাপলা নগর এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। তার বাবা জীবিত থাকাকালীন গত ১৯৮৯ সালের ৮ আগষ্ট জয়পুরহাট মৌজার ১৬৫ নং এসএ খতিয়ানের ১৩২ নং জেএল এর ৪৮৬২/১৭৬১৯ নং দাগে ৭ শতক জমি কোবালা দলিলমুলে ক্রয় করেন। এরপর থেকে বাবা আব্দুর রহমানের জীবদ্দশা পর্যন্ত তারা জয়পুরহাটে বসবাস করে আসলেও বাবার মৃত্যুর পর তারা আদি ঠিকানা সিরাজগঞ্জের কান্দাহার গ্রামে ফিরে যান।
তিনি জানান, বাবা ও মা মারা যাওয়ার পর তাদের জয়পুরহাটের ওই জায়গাটুকু বিক্রি করতে আসলে মামা আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা ও তার ছেলেরা এসে বাধা প্রদান করেন। তার মামা জোরপূর্বক ওই জায়গাটি দখলে রাখা ছাড়াও সেখানে গেলে প্রান নাশেরও হুমকিসহ নানা ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন রাসেল। রাসেল কান্না জড়িত কন্ঠে আরো বলেন, “বাবার ক্রয়কৃত সম্পত্তি আমার মা ও বাবার মৃত্যুর পর আমরা পাঁচ ভাই বোন মালিক হলেও আমার মামা জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও সরকার দলীয় প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় আমরা ভয়ে আমাদের বৈধ সম্পত্তিতে যেতে পারছি না।” এ ব্যপারে জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি অধ্যক্ষ খাজা শামছুল আলম বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ভিত্তিহীন।