• মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:১৩ অপরাহ্ন

‘সত্যিই দারুণ সম্মান’

আপডেটঃ : শুক্রবার, ৮ জুন, ২০১৮

খুব সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন স্টিভ জন রোডস। হোটেলে কয়েক ঘণ্টা বিশ্রাম শেষে দুপুরে ছুঁটেছেন ধানমন্ডিতে। বেক্সিমকো কার্যালয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, বিসিবির কয়েকজন পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে প্রায় আড়াই ঘণ্টার মিটিং করেছেন। সিংহভাগ কাজ আগেই ঠিক হয়েছিল। গতকাল সেই মিটিংয়ে চূড়ান্ত হলো বাকি আনুষ্ঠানিকতা।
পরে পড়ন্ত বিকেলে বিসিবি সভাপতির পাশে দাঁড়িয়েই বাংলাদেশ দলের হেড কোচ পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার খবরটা চূড়ান্তভাবে পেলেন রোডস। কদিন পরই ৫৪ তে পা দিতে চলা এই ইংলিশ কোচ ২০২০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত টাইগারদের কোচের পদে থাকছেন।
মাশরাফি-সাকিবদের কোচ হতে পেরে যারপরনাই খুশি ইংল্যান্ডের এই সাবেক উইকেটকিপার। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে গর্বিত রোডস। বিসিবির প্রস্তাব পাওয়ার পর সম্মতি জানাতে খুব বেশি সময় নেননি তিনি।
বিসিবি সভাপতির আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর গণমাধ্যমকে গতকাল রোডস বলেছেন, ‘প্রথমত আমি শুধু সবাইকে বলতে চাই আমি কতটা গর্বিত বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে। অসাধারণ একটা ক্রিকেট জাতি। বাংলাদেশ দল যে সমর্থন পায় তা দুর্দান্ত। অনেক সময় এই সমর্থন হতাশার বুদবুদে রূপ নিতে পারে। ব্যক্তিগতভাবে, এত বড় ভূমিকার দায়িত্ব যা বোর্ড দিয়েছে, সত্যিই দারুণ সম্মান।’
ইংল্যান্ডের হয়ে ১১ টেস্ট, নয়টি ওয়ানডে খেলেছেন রোডস। প্রায় ২০ বছর ইংলিশ কাউন্টিতে খেলেছেন তিনি। ১৯৯৪ সালে উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটারও হয়েছিলেন। ২০০৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত উস্টারশায়ারের কোচ ও ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালন করেছেন। জাতীয় দলের কোচ ছিলেন না কখনোই। ইংল্যান্ড জাতীয় দলের সঙ্গে খণ্ডকালীনভাবে কাজ করেছেন কয়েকবার।
বিসিবির মতো কার্স্টেনের তালিকায়ও শীর্ষে ছিলেন রোডস। উস্টারশায়ার থেকে বাদ পড়ার পর কোনো দলের সঙ্গে ছিলেন না তিনি। তাই বিসিবির প্রস্তাব পেতেই সাড়া দিয়েছেন। জানালেন, ‘অবশ্যই সরাসরি হ্যাঁ বলেছি। দারুণ এই দেশের কোচ হতে আমার আগ্রহ প্রকাশে খুব বেশি সময় লাগেনি।’
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোচিংয়ের যোগ্যতা রয়েছে বলেই বিশ্বাস করেন রোডস। ইতিবাচক মানসিকতার এই কোচ বলেন, ‘আমি ভাগ্যবান আমি ইংল্যান্ডের প্রস্তুতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম, যেখানে ২০১৬ সালের বাংলাদেশ সফরও ছিল। যেখানে আমি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোচিংয়ের স্বাদ পেয়েছিলাম। খুব বেশি পার্থক্য নেই যেভাবে কোচিং হয়। কিন্তু স্পষ্টতই আন্তর্জাতিক প্রোগ্রাম অনেক কঠিন। ম্যাচের জন্য ছেলেদের তৈরি করা খুব সহজ নয়। সর্বশেষ আমি বিশ্বাস করি আমি যোগ্যতাসম্পন্ন এখন। আপনি আমার পাকা চুল দেখছেন, যেটা ইঙ্গিত দেয় আপনি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেছেন। আশা করি আমার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশ দলের জন্য ভালো কাজে আসবে।’
২০১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নিয়ে ফাইনালের স্বপ্নও দেখেন এই ইংলিশ কোচ। তিনি বলেন, ‘আমি বোর্ড সভাপতি ও বোর্ড সদস্যদের বলছিলাম যে, বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইংল্যান্ডে ভালো করেছিল। তারা প্রমাণ করেছে তারা ইংলিশ কন্ডিশনে ভালো খেলতে পারে। ওই প্রতিযোগিতায় সেমিফাইনালে খেলা বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য প্রয়াস ছিল। যদি আমরা ওই পর্যায়ে যেতে পারি বা আরও দূরে। আমি এখন এই দল নিয়ে ভাবছি বাংলাদেশকে ফাইনালে দেখাটা দারুণ স্বপ্ন হবে। এটা চমত্কার উপলক্ষ হবে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ