ফিলিস্তিনের গাজার ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বিশেষ জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। কয়েকটি দেশের পক্ষ থেকে জর্ডান ও মৌরিতানিয়ার অনুরোধে এ বৈঠক ডাকা হয়েছে।
মঙ্গলবার এক এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট ডেনিস ফ্রান্সিস বলেন, নিরাপত্তা পরিষদ কোনো পরিস্থিতিতে যথাযথ উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হলে সাধারণ পরিষদকে এগিয়ে আসতে হয়।
১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদ ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে নতুন এক প্রস্তাব পাসের চেষ্টা করছে। এর আগে গত সপ্তাহে যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর কারণে বাতিল হয়ে যায়। এর মধ্যে ১৯৩ সদস্যের সাধারণ পরিষদে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চলায় গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। বুলডোজার দিয়ে সীমান্ত বেড়া ভেঙে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ে শত শত সশস্ত্র হামাস যোদ্ধা। ইসরায়েলে ঢুকে নির্বিচারে বেসামরিক লোকজনদের হত্যার পাশাপাশি ওই দিনই ২ শতাধিক ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় যোদ্ধারা।
এদিকে হামাস হামলা চালানোর পর ওই দিনই গাজা উপত্যকায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী (আইএএফ)। সেই সঙ্গে বন্ধ করে দেয়া হয় গাজার বিদ্যুৎ-পানির সংযোগ এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তপথ রাফাহ ক্রসিং, যা উপত্যকার ‘লাইফ লাইন’ নামে পরিচিত।
ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামাসের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১ হাজার ৪০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। অন্যদিকে গত ১৭ দিন ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় গাজায় নিহত হয়েছেন ৫ হাজার ৮৭ জন। নিহতদের মধ্যে শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের সংখ্যা ২ হাজার ৫৫ জন এবং নারী রয়েছেন ১ হাজার ১১৯ জন।