ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযান অব্যাহত রেখেছে। তারা ‘যুদ্ধের ধাপে ধাপে অগ্রসর’ হচ্ছে বলেও দাবি করেছে। গাজাভিত্তিক প্রতিরোধ আন্দোলনের বিমান ও নৌবাহিনীর কমান্ডারদের হত্যার দাবিও করেছে তারা।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘পদাতিক, সাজোয়া, প্রকৌশল ও গোলন্দাজ বাহিনী এতে অংশ নিচ্ছে। এছাড়া ভারী গোলাবর্ষণও চলছে।’
তিনি বলেন, ইসরাইলি বাহিনী এখনো সেখানে আছে এবং লড়াই করছে। তিনি বলেন, হামাসের নৌ এবং বিমান বাহিনীর কমান্ডাররাও নিহত হয়েছে।
‘তাদের নির্মূল করাটা যুদ্ধের এই পর্যায়ে ভালো অগ্রগতি, এতে শত্রু বাহিনী আরো দুর্বল হবে।
বড় ধরনের যুদ্ধের ভয় এখন সত্যি.
বিবিসি’র কূটনীতি বিষয়ক সংবাদদাতা পল অ্যাডামস এখন ইসরাইলের জেরুসালেমে সংবাদ সংগ্রহ করছেন।
বিবিসি’র এক সংবাদ বিশ্লেষণে তিনি বলেন, ইসরাইলি সামরিক বাহিনী গতরাতে যেভাবে গাজায় অভিযান জোরদার করেছে, তাতে মনে হচ্ছে- পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ পরিণতির দিকে যাচ্ছে।
কিন্তু এই অভিযানের মাধ্যমে গাজায় পুরোদস্তুর ‘স্থল অভিযান’ শুরু হলো কি-না, সেটা নিশ্চিত করে বলা মুশকিল। তবে এর মাধ্যমে ইসরাইল-গাজা যুদ্ধ আরো বড় আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি যে, পশ্চিমা কূটনীতিকরা ইসরাইলকে এখনই সর্বাত্মক হামলার দিকে দ্রুত অগ্রসর না হয়ে বরং ধীরসুস্থে পা বাড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছেন, যাতে লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইরাক ও সিরিয়ার শিয়া মিলিশিয়া এবং ইয়েমেনের হাউছি বাহিনী এই যুদ্ধে আরো ব্যাপকভাবে জড়িয়ে পড়ার সুযোগ না পায়। তারপরও যুদ্ধটি এই অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারে। মধ্যপ্রাচ্য জুড়েই এখন যুদ্ধের লাল সংকেত দেখা যাচ্ছে।’
ইসরাইলের সৈন্যদের সাথে হেজবুল্লাহ’র প্রায় প্রতিদিনই সংঘর্ষ হচ্ছে। এদিকে, ইসরায়েল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র- উভয়ই কয়েকদিন আগে সিরিয়ায় বেশকিছু ‘লক্ষ্যবস্তুতে’ হামলা চালিয়েছে। এছাড়া ইয়েমেন থেকেও শুক্রবার ইসরাইলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে, যা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে লোহিত সাগরের তীরবর্তী মিশরের দু’টি শহরে আঘাত হেনেছে।
এমন পরিস্থিতে ইসরাইল তার মিত্রদের পরামর্শ কানে নেবে কি-না, তা স্পষ্ট নয়।
সূত্র : আল জাজিরা, বিবিসি ও অন্যান্য