• শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:১৭ অপরাহ্ন

গাজায় হামলার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের ১৮ সংস্থার বিরল বিবৃতি

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : সোমবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৩
গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জাতিসংঘের ১৮ সংস্থার প্রধানের / সংগৃহীত

জাতিসংঘের সংস্থার প্রধানরা গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য বিরল যৌথ আবেদন করেছেন। জাতিসংঘের ১৮টি সংস্থার নেতারা ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। সেখানে ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলায় মৃতের সংখ্যায় হতবাক হয়েছেন তারা। এ নিয়ে আতঙ্ক প্রকাশ করেছেন সংস্থাগুলোর প্রধানরা।

জাতিসংঘের সকল সংস্থার প্রধানদের এমন যৌথ বিবৃতির ঘটনা বিরল। সংস্থাগুলোর নেতারা রোববার বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতি দরকার। ৩০ দিন হয়ে গেছে। যথেষ্ট হয়েছে। এটা এখনই বন্ধ করতে হবে।

ইউনিসেফ, ইউএন উইমেন, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম এবং ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনসহ জাতিসংঘের অন্যান্য সকল সংস্থার প্রধানরা গত মাসে ইসরায়েলি এবং হামাসের হত্যাকাণ্ডকে ‘ভয়াবহ’ বলে বর্ণনা করেছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজারর ৭৭০ জনে।নিহতদের মধ্যে ৪ হাজার ৮ জনই শিশু ও ২৫৫০ জন নারী।

বিবৃতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, বিগত ২৪ ঘণ্টায় (রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত) গাজায় ইসরায়েলি হামলা অন্তত ২৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা ওয়াফা নিউজ জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনাদের হাতে অন্তত ১৫৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে আরও অন্তত ২ হাজার ২০০ জন। সব মিলিয়ে গাজা ও পশ্চিম তীরে নিহতের মোট সংখ্যা ৯ হাজার ৯২৩ জন।

জাতিসংঘের নেতারা বলেছেন, ‘প্রায় এক মাস ধরে বিশ্ব ইসরায়েল এবং অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের উদ্ঘাটন পরিস্থিতি দেখছে এবং ক্ষয়ক্ষতি ও ছিন্নভিন্ন প্রাণের ক্রমবর্ধমান সংখ্যায় মর্মাহত ও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।’

জাতিসংঘের প্রধানরা সকল পক্ষকে আন্তর্জাতিক মানবিক ও মানবাধিকার আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। এর মধ্যে হাসপাতাল এবং স্কুলের মতো বেসামরিক অবকাঠামো রক্ষা করা এবং গাজায় সাহায্য পৌঁছানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটা অগ্রহণযোগ্য যে গাজার জনসংখ্যাকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। সেইসাথে তাদের বাড়ি, আশ্রয়কেন্দ্র, হাসপাতাল এবং উপাসনালয়ে বোমাবর্ষণ করা হচ্ছে।’

জাতিসংঘের নেতারা কয়েক ডজন সাহায্য কর্মীকে হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘স্বাস্থ্য পরিষেবার বিরুদ্ধে ১০০টিরও বেশি আক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। ৭ অক্টোবর থেকে ৮৮ জন জাতিসংঘের কর্মীসহ অনেক সংখ্যক জরুরি কর্মী নিহত হয়েছে। এটি একক সংঘাতে জাতিসংঘের কর্মীদের মৃত্যুর সর্বোচ্চ সংখ্যা।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ