গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সংগীত উৎসবে হামলার কোনো পরিকল্পনা ছিল না হামাসের। তবে ফেস্টিভাল থেকে পলায়নরত মানুষের ওপর ইসরায়েলি হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানো হয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে দেশটির সংবাদ মাধ্যম হারেৎজ।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) দেশটির পুলিশ এবং নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যমটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি একটি সামরিক হেলিকপ্টার রামাত ডেভিড ঘাঁটি থেকে উড়ে এসে হামলাকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। ইসরায়েলি বাহিনীর পক্ষে হামাস যোদ্ধাদের শনাক্ত করা কঠিন ছিল। ফলে উৎসবে আসা বেসামরিকদের ওপর গুলি চালানো হয় এতে উৎসবে অংশগ্রহণকারী অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়।
এতে আরও হয়েছে, দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর তদন্ত, আটক হামাস সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তাদের হামলার পরিকল্পনা সম্পর্কিত একাধিক ছক বা মানচিত্র খুঁজে পাওয়া গেলেও সেগুলোর কোনোটিতেই অনুষ্ঠানস্থলে হামলার কথা পাওয়া যায়নি। হামাস যোদ্ধারা মূলত কাছাকাছি কিবুৎজ রেইম এবং গাজা সীমান্তের নিকটবর্তী অন্য কয়েকটি গ্রামে হামলার পরিকল্পনা করে। তারা ড্রোন এবং প্যারাস্যুটের সাহায্যে ইসরায়েলে প্রবেশের সময় ওই ফেস্টিভাল দেখতে পায়। অনুষ্ঠানে চার হাজার চারশরও বেশি মানুষ উপস্থিত ছিল। হামাসের হামলা দেখে এসব মানুষ দৌড়ে পালায়।
পুলিশের সিনিয়র এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে হারেৎজ জানায়, রকেট হামলার চার মিনিট পর হামাস উৎসবস্থলে হামলা করবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নিতে নিতেই উৎসবে অংশগ্রহণকারী বেশিরভাগ মানুষ পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ঘটনার তদন্তে একটি ইসরায়েলি সামরিক হেলিকপ্টার প্রকাশিত হয়েছে যেটি রামাত ডেভিড ঘাঁটি থেকে সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় এবং দৃশ্যত সেখানে কিছু ভক্তকেও আঘাত করেছিল।
প্রতিবেদনে হতাহতের সংখ্যা সংশোধন করে বলা হয়, এ হামলায় ১৭ পুলিশসহ ৩৬৪ জন নিহত হয়েছে। আগে এ সংখ্যা ২৭০ বলে জানানো হয়েছিল। উৎসবস্থল থেকে ৪০ জনকে তুলে নিয়ে যায় হামাস।
হামাসের হামলার জবাবে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় স্থল ও বিমান হামলা চালিয়ে ৫ হাজার শিশুসহ ১২ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে। গাজার বেশিরভাগ অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের আরোপিত অবরোধ গাজার মানুষের খাদ্য, পানি, জ্বালানী এবং চিকিৎসা সরবরাহ পেতে অক্ষম করেছে।