ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আটকাদেশ জারি করার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা আইসিসির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশটির সরকার বিষয়ক মন্ত্রী খুম্বুদজো এনত্শাভেনি সোমবার ওই আহ্বান জানান। এর প্রতিক্রিয়ায় প্রিটোরিয়ায় নিযুক্ত ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতকে দেশে ডেকে পাঠিয়েছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার। এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।
খবরে জানানো হয়, গাজায় ইসরাইলের সামরিক অভিযানের বিষয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের বেশ কয়েকটি অত্যন্ত সমালোচনামূলক মন্তব্য এবং পদক্ষেপের পর সোমবার রাষ্ট্রদূত এলি বেলোটসারকভস্কিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা আগামী ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আটকাদেশ জারি করার আহ্বান জানিয়েছে।
রাশিয়ার মিত্র ও ব্রিকস সদস্য দক্ষিণ আফ্রিকা ইতিমধ্যেই ইসরাইল থেকে তার রাষ্ট্রদূত এবং কূটনৈতিক কর্মীদের প্রত্যাহার করে এনেছে। দেশটির সরকার একাধিক বার গাজায় ইসরাইলি অভিযানকে ‘গণহত্যা’ হিসাবে আখ্যায়িত করেছে। সোমবার রাতে এ নিয়ে ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, দক্ষিণ আফ্রিকার সাম্প্রতিক মন্তব্যের পটভূমিতে দেশটিতে থাকা ইসরাইলের রাষ্ট্রদূতকে জেরুজালেমে পরামর্শের জন্য ডাকা হয়েছে।
গাজায় ইসরাইলের বর্বরতা প্রসঙ্গে এনত্শাভেনি বলেন, বিশ্ব কেবল দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না এবং তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতে পারে না। এই গণহত্যা বন্ধ করতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে এখনই জেগে উঠতে হবে। তিনি আরও বলেন, নেদারল্যান্ডসের হেগে দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূত গত সপ্তাহে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং গণহত্যার তদন্ত করতে’ আইসিসির কাছে একটি রেফারেল দায়ের করেছেন। দেশটির সঙ্গে আরও ছিল কমোরোস, জিবুতি, বলিভিয়া এবং বাংলাদেশ।
এনৎশাভেনি বলেন, বিশ্ব সমাজের বেশিরভাগ অংশ গাজায় এসব অপরাধযজ্ঞ প্রত্যক্ষ করছে।
বিশেষ করে গণহত্যার উস্কানি দিয়ে ইসরাইলি নেতাদের বক্তব্য কারো দৃষ্টি এড়ায়নি। কাজেই আমরা আশা করছি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুসহ ওইসব ইসরাইলি নেতার বিরুদ্ধে অবিলম্বে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হবে। আন্তর্জাতিক আদালত তা করতে ব্যর্থ হলে তাকে বৈশ্বিক শাসনব্যবস্থার ব্যর্থতা বলে ধরে নেবে প্রিটোরিয়া।