• শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন

গাজা ইস্যুতে ‘শক্ত অবস্থান’ জানালেন ইমরানের সাবেক স্ত্রী জেমিমা খান,

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শনিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৩
জেমিমা খান

বাতাসে ভাসতে নানা সমালোচনা উড়িয়ে দিয়ে ব্রিটিশ চলচ্চিত্র প্রযোজক এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের সাবেক স্ত্রী জেমিমা গোল্ডস্মিথ স্পষ্ট করেছেন যে, তিনি ‘দ্ব্যর্থহীনভাবে এবং আন্তরিকতার সাথে’ গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি রাজনৈতিক সমাধানের পক্ষে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ (আগের টুইটার) দেওয়া পোস্টে জেমিমা বলেছেন, ‘সন্দেহ এড়ানোর জন্য, যারা জিজ্ঞাসা করছেন, আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে এবং মনেপ্রাণে গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি রাজনৈতিক সমাধানের পক্ষে।’

এর আগে অক্টোবরে ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ইসরাইলি আগ্রাসনের জন্য ‘উভয় পক্ষ’কে দায়ী করায় অনলাইনে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন এই ব্রিটিশ চলচ্চিত্র প্রযোজক।

তিনি তার এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, ‘আমি এই সংঘাতে উভয় পক্ষের নিরীহ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। উভয়ের নিন্দা করছি।’

অন্য একটি পোস্টে তিনি একটি ছোট টেক্স-ভিত্তিক পোস্ট শেয়ার করেছেন, যেখানে লেখা ছিল, ‘আমি আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবাধিকারের সাথে রয়েছি। রাজনৈতিক উপজাতীতাবাদে কোনো মানবতা নেই।’ তার এই পোস্ট বিশ্বজুড়ে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

জিও নিউজ জানিয়েছে, তবে শুক্রবার তার নতুন পোস্টে জেমিমা খান বিষয়টিতে তার অবস্থান পরিষ্কার করার চেষ্টা করেছেন এবং বলেছেন, ‘এটা লক্ষণীয় যে, আমি ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইউনিসেফ ইউকে-এর (@UNICEF_uk) জন্য কাজ করেছি এবং সেই সময়ে আমি সারা বিশ্বে শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধ করার প্রচারাভিযানকে সাপোর্ট করেছি।’

এখানে উল্লেখ করা প্রাসঙ্গিক যে, ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি- যার মধ্যে ৬ হাজার ২০০ এর বেশি শিশু রয়েছে। ইসরাইলের নির্মম বোমাবর্ষণে হাসপাতালসহ বেসামরিক স্থাপনাগুলি ধ্বংস হয়েছে।

জেমিমা খান ইউনিসেফের একটি পোস্টও শেয়ার করেছেন যাতে লেখা ছিল, ‘ইউনিসেফ যুদ্ধে অস্থায়ী বিরতি এবং শিশুদের তাদের পরিবারে ফিরে আসাকে স্বাগত জানিয়েছে। যাইহোক, আমরা একটি সম্পূর্ণ এবং অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং শিশুদের হত্যা ও পঙ্গুত্ব বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছি।’

ইউনিসেফের মুখপাত্র বলেছেন, ‘গাজার মানবিক পরিস্থিতি এতটাই বিপজ্জনক যে, জরুরি ভিত্তিতে এবং পর্যাপ্ত মাত্রায় টেকসই সাহায্য ছাড়া গাজার শিশুদের বিপর্যয় ঠেকানো যাবে না।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ