• শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:২৫ পূর্বাহ্ন

জাতিসংঘে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস,

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

সাধারণ পরিষদে তোলা ওই প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেন পরিষদের ১২৩ সদস্য। ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় মানবিক যুদ্ধ বিরতির আহ্বান জানিয়ে উত্থাপিত একটি প্রস্তাব বিপুল ভোটে পাস হয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে। বাংলাদেশের সময় বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোররাত চারটার দিকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় প্রস্তাবটি পাস হয়।

উত্থাপিত প্রস্তাবটিতে গাজায় অবিলম্বে একটি টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতি, সেখানে মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ সরবরাহ নিরাপদ করা, উপত্যকার উত্তরাংশের বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার যে নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল— তা বাতিল করা।

মৌরিতানিয়া ও মিসরের প্রস্তাবটি পেশ করার পর সেটির ওপর ভোটগ্রহণ হয়। সেখানে বাংলাদেশ ও ভারতসহ ১৫৩টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলসহ ১০টি দেশ বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। আর ভোটদানে বিরত ছিল ২৩টি দেশ।

১৯৩ সদস্যের সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি পাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সাধারণ পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাব মানা বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু তার রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। বিষয়টি বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রতিফলিত করে। গাজায় দ্রুত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে গত শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব তোলা হয়েছিল। প্রস্তাবটিতে ভেটো দেয় নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র। এতে গাজায় রক্তক্ষয় থামানোর প্রয়াস ব্যর্থ হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ভোটের পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও কয়েক শ বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে,ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলায় ফিলিস্তিনিদের প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ১৮ হাজার ৪১২ জনে পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন আরও ৫০ হাজার ১০০ জন ফিলিস্তিনি।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় ভূখণ্ডে ঢুকে হামলা চালায়। এতে ইসরায়েলে এক হাজার ২০০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এই হামলার পর গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। হামাসকে নির্মূল করার অঙ্গীকারে অক্টোবরের শেষের দিকে গাজায় স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। গাজায় স্থল অভিযান পরিচালনার সময় এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের অন্তত ১০৫ সৈন্য নিহত হয়েছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ