• শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৪৭ পূর্বাহ্ন

মাশরাফির বোর্ড সভাপতি হওয়ার সুযোগ কতটা, কী ইঙ্গিত দিলেন মন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : সোমবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৪
মাশরাফি ও পাপন

দীর্ঘ দিন ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড তথা বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন নাজমুল হোসেন পাপন। পাশাপাশি ছিলেন সংসদ সদস্যও। ফলে বিষয়টি নিয়ে তেমন কোনো আলোচনা হয়নি। তবে এবার তিনি পেয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। তাই একই সঙ্গে মন্ত্রিত্ব ও বোর্ড সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা নিয়ে ইতোমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। এমনই প্রেক্ষাপটে নিজের অবস্থান তুলে ধরেছেন পাপন। সেই সঙ্গে পরবর্তী বোর্ড সভাপতির ব্যাপারেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

জানা যায়, বিসিবির সাবেক তিন সভাপতি মন্ত্রিত্ব এবং বোর্ড একসঙ্গে চালিয়ে গেছেন। বিসিবি ও রাষ্ট্রীয় কোনো আইনেই এতে বাধা ছিল না। পাপনের ক্ষেত্রেও নেই। তবে সাবেক সভাপতিরা ছিলেন অন্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে। তাই স্বার্থের সংঘাতের সংকট তৈরি হয়নি। নাজমুল হাসান পাপন দায়িত্ব পেয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের। বিসিবি মন্ত্রণালয়ের অধীভুক্ত একটি সংস্থা। তাই পাপনের মন্ত্রিত্ব এবং বিসিবির সভাপতিত্ব নিয়ে আবার প্রশ্ন উঠেছে।

অবশ্য পাপনও বিসিবির দায়িত্ব ধরে রাখতে চান না। যত দ্রুত সম্ভব বিসিবি ছাড়তে চান তিনি। মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার দিন পাপন বলেছেন, বিসিবির সঙ্গে এটার কোনো সম্পর্ক নেই। আগেও আমাদের এখানে অনেক মন্ত্রী ছিলেন, যারা বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। অন্য দেশেও আছে। কিন্তু সেটা ইস্যু না। আমার আগে থেকেই ইচ্ছে ছিল, এই মেয়াদেই দায়িত্ব ছাড়ার। যেটা শেষ হবে আগামী বছর। আমি চেষ্টা করব এ বছর শেষ করা যায় কিনা।

অনেকের ধারণা, পাপন বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব ছাড়লে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও সংসদ সদস্য মারশরাফি বিন মর্তুজা দায়িত্ব পাবেন। কেউ কেউ আবার বোর্ড পরিচালকদের নামও বলছেন। তবে পাপনের মতে, এই মুহূর্তে মাশরাফির কোনো সুযোগ নেই। বরং বোর্ড পরিচালকদের মধ্য থেকে কেউ আসতে পারেন।

শপথ নেওয়ার পরদিন গণমাধ্যমকে পাপন বলেন, আমার মনে হয় একটা হতে পারে আইসিসির মেয়াদটা শেষ হয়ে গেলে তখন একটা চিন্তা করে ওদের সাথে কথা বলে বের হয়ে আসার সুযোগ আছে। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই এখন যারা বোর্ডের ডাইরেক্টর আছে তাদের মধ্যে থেকে একজন হবে। মানে বাইরে থেকে কারও আসার কোনো সুযোগ নেই।

‘আইনে কোনো সমস্যা নেই এটাই হচ্ছে বড় কথা। কথা হচ্ছে একসাথে যদি দুটোতে থাকি তাহলে একটা স্বাভাবিকভাবেই মনে হতে পারে যে ক্রিকেটের প্রতি আমার দৃষ্টিটা একটু বেশি। এটা সকলের ধারণা, এটা অস্বাভাবিক কিছু না,’ বলেন পাপন।

তবে নতুন বিসিবির বোর্ড সভাপতি নিয়োগ নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে চান না পাপন। বলেন, এখানে বেসিক কয়েকটা ব্যাপার আছে, প্রথম কথা হচ্ছে- ইচ্ছা করলেই ছেড়ে দেওয়া যায় না এখন। সেটা আমরা জিম্বাবুয়ের ক্ষেত্রেও দেখেছি দুই বছর তারা প্রায় ব্যান (নিষিদ্ধ), শ্রীলংকার ক্ষেত্রেও এবার দেখেছি। আমি মনে করি, এমন কিছু তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না, যেটা দেশের ক্রিকেটের ক্ষতি করতে পারে।

একটা অপশন ওদের সাথে আমার কথাটা বলতে হবে। এখানে দুটো জিনিস আছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটা হচ্ছে আমাদের মেয়াদ যেটা সবসময় আইসিসি চায় তাদের ইলেকটেড বডির (নির্বাচিত কমিটি) ফুল মেয়াদটা। আর একটা হচ্ছে আইসিসির মেয়াদ, যোগ করেন পাপন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ