• রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিলেও ৬২০ ফিলিস্তিনিকে ছেরে দেয়নি মঙ্গলবার জামায়াত নেতা আজহারের রিভিউ শুনানি পুলিশ দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন কিংবা বেআইনি কাজ করবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আবু সাঈদ এখন সারা পৃথিবীর বিপ্লবের প্রতীক : মাহমুদুর রহমান মহানবীকে অবমানকারীদের গ্রেফতাকরে শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ সাতক্ষীরা শাখায় অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি’র বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস উপলক্ষে র‌্যালি কোনো নেতার কথায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হবে না যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হযরত মুহাম্মদ (সা:) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদ

রোহিঙ্গা সংকটে ভূয়সী প্রশংসা ইয়ান চ্যাপেলের বাংলাদেশিরা এমনই…

আপডেটঃ : বুধবার, ১ নভেম্বর, ২০১৭

মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান বর্বরতায় বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের পাশে বাংলাদেশ যেভাবে দাঁড়িয়েছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্যাপ্টেন ও অস্ট্রেলিয়ায় জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক দূত ইয়ান চ্যাপেল।

দ্য টেলিগ্রাফে প্রকাশিত এক নিবন্ধে তিনি বাংলাদেশের প্রশংসার পাশাপাশি বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলোকে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট নিরসনে কাজ করার আহ্বান জানান।

নিবন্ধে তিনি বলেন,  বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার টেস্ট ম্যাচের উদ্বোধনীর ধারাভাষ্য দিতে আমি ২০০০ সালের নভেম্বরে শুধু একবারই বাংলাদেশ সফরে যাই। ক্রিকেটপ্রেমীদের ভিড় ও যানজট দেখে আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া প্রদেশের দুই-তৃতীয়াংশ এলাকার মতো আয়তনের একটি দেশে ১৬ কোটির বেশি মানুষ গাদাগাদি করে বাস করে। আজকে আমার কল্পনা করতেও কষ্ট হয় যে, জনবহুল দেশটি কী করে কয়েক সপ্তাহে আসা ৬ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিল।

জনবহুল দেশই শুধু নয়, বাংলাদেশ দরিদ্রও বটে। তাছাড়া রয়েছে বিপর্যয়, বারবার বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়। প্রথমেই যে চিন্তাটা মাথায় আসে তা হল নিজের দেশের জনগণের দেখভাল করতেই তো বাংলাদেশ হিমশিম খাচ্ছে। তারপর তারা আরও মানুষকে আশ্রয় দেয়ার চিন্তা করে কীভাবে। কিন্তু বাংলাদেশকে আমি যেভাবে জানি তাতে আমি মোটেও বিস্মিত হইনি যে, তারা রোহিঙ্গাদের সাদরে বরণ করেছে।

আমি বাংলাদেশকে সব সময় শুধু ক্রিকেটের লেন্স দিয়েই দেখেছি। সেটাও সব সময়ই ইতিবাচক। আমার দেখামতে বাংলাদেশের ক্রিকেট ফ্যানরা বিশ্বের সবচেয়ে আমুদে। তারা সব সময় তাদের দলের পক্ষে শোরগোল করে। কিন্তু প্রতিপক্ষকে খাটো করে না। আমার ভাই ট্রেভর চ্যাপেল ২০০১ থেকে ২০০২ সালে বাংলাদেশের ক্রিকেট কোচ ছিলেন। তিনি প্রায়ই বলে থাকেন বাংলাদেশের মানুষ সহজাতভাবেই ভদ্র, অমায়িক এবং অতিথিবৎসল।

২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশে এসেছে ৬ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। সরকার সীমান্ত উন্মুক্ত করে দিয়েছে এবং তাদের নিরাপদে রাখতে, আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে এবং খাদ্যের জোগান দিতে কঠোর পরিশ্রম করছে। আগতদের জন্য বাংলাদেশের মানুষ তাদের ব্যক্তিগত সীমিত সম্পদ ভাগাভাগি করে নিচ্ছে।

অসুস্থ, ক্ষুধার্ত এবং অবর্ণনীয় নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গাদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাচ্ছে মানুষ। বিশ্বের বেশির ভাগ এলাকায়ই এমনটা দেখা যায় না। বাংলাদেশের ক্রিকেট কমিউনিটিতে আমি যে মূল্যবোধ দেখেছি এটা তারই প্রতিবিম্ব। এ সংকটে বিশ্বের ধনী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ অনেক বড় বোঝা কাঁধে নিয়েছে। এটা কোনো বিস্ময়কর ঘটনা নয়। বিশ্বের বেশির ভাগ শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে চলেছে। কিন্তু বাংলাদেশের একার পক্ষে এ সংকট সামাল দেয়া সম্ভব নয়। বিশ্বের ধনী দেশগুলোর সরকারের উচিত আরও কিছু করা। ব্যক্তিগত উদ্যোগও বাড়ানো দরকার।

ইয়ান চ্যাপেল : অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্যাপ্টেন ও অস্ট্রেলিয়ায় জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক দূত, দ্য টেলিগ্রাফে প্রকাশিত নিবন্ধ


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ