ময়মনসিংহ বিভাগীয় ব্যুরোঃ- শিশুরা পুকুর পাড়ে খেলা করার সময় পুকুরে নবজাতকের মরদেহ ভাসতে দেখে বড়দের জানায় ঘটনাটি। তবে এরই মাঝে ঘটনাটি টের পেয়ে পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে তড়িগড়ি দাফন ছাড়াই গোপনে মাটিচাপা দেয় এক নারী। এ নিয়ে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের পানাটি গ্রামে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকালে এ ঘটনার খবরে গৌরীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও এখন পর্যন্ত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকালে এলাকাবাসী স্থানীয় সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করে ঘটনার তদন্তপূর্বক বিচার দাবি করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. শরীফুল আলম তুষার বলেন, স্থানীয় জোসনা খাতুন নামের এক বিধবা নারী অবৈধভাবে এই শিশু জন্ম দিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে তাকে মাটিচাপা দিয়ে পালিয়েছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে তুষার আরও বলেন, এই ঘটনায় এলাকাবাসীর পক্ষে আমি অভিযোগ দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু পুলিশ তা গ্রহণ করছে না। আমি মনে করি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়া উচিত, তা নাহলে সমাজে অপরাধ প্রবণতা আরও বাড়বে।
পানাটি গ্রামের আব্দুল কদ্দুসের ছেলে মো. ইয়াসিন মিয়া বলেন, পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া শিশুর মরদেহটি কার, কেউ জানে না। এ ঘটনায় জড়িতদের তদন্তপূর্বক আইনের আওতায় আনা উচিত।
স্থানীয় ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রতন মিয়া বলেন, যে মহিলা এই সন্তানের জন্ম দিয়েছে, তার স্বামী মারা গেছে প্রায় ১০ বছর আগে। এখন ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
তবে ঘটনার বিষয়ে সুনির্দ্দিষ্ট কোনো অভিযোগ না থাকায় পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারছে না বলে ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার। তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মাটিচাপা অবস্থায় একটি শিশুর লাশ পেয়েছে। স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে অনেকে কথা বলছে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কেউ অবৈধ গর্ভপাত ঘটিয়ে শিশিুটি মাটি চাপা দিয়েছে। এখন সুনির্দ্দিষ্ট অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।