গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইল ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। ইতোপূর্বে মার্কিন অস্ত্র ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল।
নুসারাত গাজায় জাতিসঙ্ঘ-পরিচালিত একটি স্কুলে সাম্প্রতিক ভয়াবহ ইসরাইলি হামলায় ভারতের তৈরী সরঞ্জাম ব্যবহারের বিষয়টি সামনে আসে। ইসরাইলি যুদ্ধবিমান থেকে সেখানে ফেলা একটি ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষে ’মেইড ইন ইন্ডিয়া’ লেখা পাওয়া যায়। এতে গাজার নৃশংস হামলায় ভারতীয় অস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাব্যতা নিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।
ইসরাইল ওই হামলাটি চালিয়েছিল ৬ জুন। নুসারাত উদ্বাস্তু শিবিরের জাতিসঙ্ঘ রিলিফ অ্যাজেন্সি স্কুলে ইসরাইলি বিমান গোলাবর্ষণ করে। এখানে পালিয়ে আসা ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছিল। হামলায় প্রায় ৪০ জন নিহত হয়। এছাড়া হতাহত হয় আরো বেশি লোক। হতাহতদের মধ্যে বেশিভাগই নারী ও শিশু।
হামলার পর ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। ক্লিপটিতে জাতিসঙ্ঘ আশ্রয় কেন্দ্রে ফেলা ক্ষেপণাস্ত্রের অবশিষ্টাংশে ‘মেইড ইন ইন্ডিয়া’ লেবেল দেখা যায়।
এতে মনে হচ্ছে যে ভারতীয় সামরিক বাহিনী এবং অস্ত্র প্রস্তুতকারকরা গাজায় মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধের সাথে জড়িত।
ইসরাইলি ঘাঁটিতে বিস্ফোরণে ৯ সৈন্য আহত
ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে একটি সামরিক ঘাঁটিতে বিস্ফোরণে দেশটির নয় সৈন্য আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর। সেনাবাহিনী বুধবার এ কথা জানিয়েছে।
মঙ্গলবারের বিস্ফোরণ বিষয়ে সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলীয় একটি সামরিক ঘাঁটিতে এ বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।’
এতে আরো বলা হয়, আহত সৈন্যদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ইসরাইলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, নেগেভ মরুভূমিতে একটি সামরিক ঘাঁটিতে বিস্ফোরণটি ঘটে।
৭ অক্টোবর গাজা থেকে চালানো হামাসের হামলার পর ইসরাইলি সেনাবাহিনী হামাসকে ধ্বংস করার জন্য জোরালো অভিযান শুরু করার পর সেখানে এ বিস্ফেরণ ঘটলো।
ইসরাইলের সরকারি পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে এএফপি পরিবেশিত খবরে বলা হয়, ইসরাইলে হামাসের হামলায় কমপক্ষে ১,১৯৪ প্রাণ হারিয়েছে। এদের বেশিভাগই বেসামরিক নাগরিক।
এদিকে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের প্রতিশোধমূলক হামলায় কমপক্ষে ৩৬,৫৫০ ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছে। যাদের বেশিভাগই বেসামরিক নাগরিক এবং নারী ও শিশু।
সূত্র : সিয়াসত ও এএফপি