বাহুবল থানা থেকে উপ—পরিদর্শক হিসাবে উখিয়া থানায় যোগদান করেছেন সিদ্ধার্থ সাহা। গত সাতদিন ধরে তিনি বাসা খুঁজে হয়রান। কিন্তু বাসার দেখা মেলেনি। অবশেষে উখিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতির সঙ্গে সিদ্ধার্থ সাহা যোগাযোগ করেন। তিনি তাত্ক্ষণিকভাবে বাসা ঠিক করে দিতে না পারলেও আপাতত রাত যাপনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এতেই খুশি সিদ্ধার্থ। তিনি সাংবাদিকদের জানালেন, থানায় থাকার মতো কোন পরিবেশ না থাকায় অনেক কষ্টে কয়েক রাত কেটেছে। এভাবে অসংখ্য কর্মকর্তা কর্মচারী বাসা সংকটে পড়ে অসহায়ের মতো দিন যাপন করছেন।
উখিয়া ক্যাম্প ভিত্তিক কর্মকর্তারা জানালেন, এক রুমের একটি কক্ষের ভাড়া চাওয়া হচ্ছে ৯/১০ হাজার টাকা। যে কক্ষটি স্বাভাবিক ভাড়া ছিল মাত্র ১ হাজার টাকা। ১০ গুণ ভাড়া বৃদ্ধি হলেও প্রয়োজনের তাগিদে অনেকেই হন্য হয়ে বাসা খুঁজছেন। এ সুযোগের সত্ ব্যবহার করতে নতুন নতুন ভাড়া দেওয়ার জন্য বাসাও তৈরি করছেন অনেকে।
উখিয়া সদরস্থ আরফাত হোটেলের পরিচালক শাকুর মাহমুদের জানান, তার হোটেলে প্রায় শতাধিক কক্ষ রয়েছে। যেসব কক্ষ আগে থেকেই ভাড়া হয়ে গেছে। এখন প্রতিদিন লোকজন এসে হোটেল কক্ষ ভাড়া নেওয়ার জন্য বিরক্ত করছে। একাধিক ভাড়া বাসায় গিয়ে দেখা যায়, রুম খালী নেই। টিএন্ডটি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, টিনের বেড়া দিয়ে তৈরি চাররুমের একটি ঘর ভাড়া দেওয়া হচ্ছে ১২ হাজার টাকা। অথচ ওইসব জায়গায় গত বছরের ২৫ আগস্টের আগে কোন লোকজন থাকেনি। এনজিও সংস্থার শতশত কর্মী ভাড়াবাসার সংকটে পড়ে স্থানীয় বাসাবাড়িতে ছেলে মেয়েদের পড়া লেখার বিনিময়ে রাত যাপন করছেন বলেও জানা গেছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী জানান, এনজিও কর্মীদের বেতন বেশি। তাই এদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে সমস্যা নেই। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, ভাড়া বাসার সংকট ও ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি তিনি অবগত থাকলেও করার কিছু নেই।