• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৬ অপরাহ্ন

ফলন ও দামে খুশি বিরামপুর কচু চাষিরা

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

দিনাজপুরের বিরামপুরে ধানের পর কচু চাষে সাফল্য অর্জন করেছেন চাষিরা। গত বছর ফলন কম হলেও এবারের চিত্র ভিন্ন। ভালো ফলনে খুশির পাশাপাশি ভালো দামের কারণে মন খুলে হাসছেন কৃষকেরা।

স্থানীয় কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় বিভন্ন প্রজাতির ১৬০ হেক্টর জমিতে কচু চাষ হয়েছে। প্রায় ৮৫০ জন কচু চাষ করেছেন। বেশি চাষ হয়েছে বিলাসি জাতের কচু। প্রতি বিঘা জমিতে ৮০-১০০ মণ ফলন হয়। এতে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মণ উৎপাদন হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার মুকুন্দপুর, কেশবপুর, ফকিরপাড়া, হরেকৃষ্ণপুর, ভবানিপুর, মাহমুদপুর, প্রস্তমপুর, সারাঙ্গপুর, চকবসন্তপুর, মির্জাপুর ও হাবিবপুর গ্রামের মাঠে সবচেয়ে বেশি কচু চাষ হয়েছে।

কৃষকদের দাবি, প্রতি বিঘা জমিতে শ্রেণিভেদে ৭০-৮৫ মণ ফলন হয়েছে। ১ বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে ১০ হাজার টাকার বীজ, পানি ৪ হাজার, নিড়ানি ৬ হাজার, বাঁধানো ৭ হাজার, সার ৬ হাজার, গোবর সার ২ হাজার, চাষ ১ হাজারসহ মোট ৩৬ হাজার টাকা। এ ছাড়া মাঠ থেকে ফলন তুলতে মণপ্রতি আরও ২০০ এবং পরিষ্কার করতে ১০০ টাকা খরচ হয়।

বিরামপুর কাঁচা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, এলাকার চাষিরা ভ্যানে করে জমি থেকে তোলা বিভিন্ন সবজি বাজারে আনছেন। বাজারে প্রতিমণ কচু বিক্রি হচ্ছে শ্রেণিভেদে ১৩৫০-১৪৫০ টাকা পর্যন্ত। এসব কচু স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ট্রাকে করে চলে যাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কমল কৃষ্ণ রায় বলেন, ‘উপজেলার বেশ কয়েকটি মাঠে কচু চাষ হয়। এলাকার মাটি বেলে-দোআঁশ মাটির মিশ্রণ আছে। এসব জমি কচু চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী।

তিনি বলেন, ‘বিরামপুর এলাকায় কচু চাষ দিন দিন বাড়ছে। আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে ফলন কিছুটা কম-বেশি হয়। এ কচু এলাকার চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ