বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ফেরাতে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতা চুক্তিতে দেশের স্বার্থ বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এই চুক্তির ব্যাপারে একটা কথা জিজ্ঞেসা করতে চাই, কি এমন সমঝোতা হলো যে আপনি আপনার বাংলাদেশের স্বার্থটিকে বুঝে না নিয়ে মিয়ানমারের স্বার্থের কাছে নিজেকে বিক্রি করে দিলেন? চাপটা কোথায়? আসল ঘটনাটি কোথায়? জাতির সামনে বলা উচিত। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লজ্জার সঙ্গে বলতে হয়, এই সরকারের কোনো ধরনের আত্মসম্মানবোধ নাই।
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৩ তম জন্মদিন উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে রবিবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণের অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন। স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর সভাপতিত্বে এবং আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- শওকত মাহমুদ, সরাফত আলী সপু, হাবিব উন নবী খান সোহেল, এসএম জিলানী প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার সমঝোতা চুক্তিকে বড় কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে প্রচার করছে। কিন্তু বাস্তবে এটা সরকারের ধোকাবাজির রাজনীতি। জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বলছেন, এই চুক্তি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। রোহিঙ্গারা কোথায় যাবে? কোথায় গিয়ে বাস করবে? তাদের ঘর নাই, দুয়ার নাই। সব পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। কোথায় গিয়ে বাস করবে? খাওয়ার কিছু নাই। তাহলে তাদেরকে কার কাছে দিচ্ছেন? বাঘের মুখে আবার ফিরিয়ে দিচ্ছেন? এই যে ধোকাবাজির রাজনীতি, এটা চলছেই।
চুক্তির কিছু অংশ তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এতে আপনি স্বীকার করে নিচ্ছেন সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে বলেই তাদের (রোহিঙ্গা) তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে বলেই তাদের গণহত্যা করা হয়েছে। একবারও বলেননি গণহত্যা হয়েছে। একবারও বলেননি তাদের জাতিগতভাবে নিধন হচ্ছে। মিয়ানমার যা যা বলেছে তা মেনে নিয়েছেন। আর বলছেন কূটনৈতিক অর্জন হয়েছে। তিনি বলেন, অতীতে জিয়াউর রহমানের সময়ে এভাবে রোহিঙ্গা এসেছিলো। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তাদের ফেরত পাঠিয়েছিলেন। খালেদা জিয়ার সময়ে এই পরিস্থিতি তৈরি হলে জাতিসংঘের সহায়তা নিয়ে তাদের দ্রুত ফেরত পাঠিয়েছিলেন।