• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০০ অপরাহ্ন

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কারখানা ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪

ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রধান কারখানা এবং ইসরায়েলের দিকে তাক করা বিভিন্ন ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ। বিবৃতিতে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে , “ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রধান কারখানায় আঘাত হানা হয়েছে। গত বছর থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে যত ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে দেশটির সেনাবাহিনী, সেগুলোর সবই তৈরি হয়েছে সেই কারখানাটিকে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি

ইরানে সংক্ষিপ্ত ও সুনির্দিষ্ট হামলার সমাপ্তি ঘোষণা করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। টানা ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা দেশটির রাজধানী তেহরান ও তার পার্শ্ববর্তী কারাজ শহরে বিমান থেকে গোলা বর্ষণের পর এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দিলো আইডিএফ।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমাদের হামলাপর্ব সমাপ্ত এবং এ অভিযান সফল। পূর্ববর্তী হামলার জবাব দিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী এই হামলা পরিচালিত করেছিল। আমাদের যুদ্ধবিমানগুলো নিরাপদে ফিরে এসেছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, গত কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী হওয়া এ হামলায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রধান কারখানা এবং ইসরায়েলের দিকে তাক করা বিভিন্ন ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ। বিবৃতিতে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে , “ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রধান কারখানায় আঘাত হানা হয়েছে। গত বছর থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে যত ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে দেশটির সেনাবাহিনী, সেগুলোর সবই তৈরি হয়েছে সেই কারখানাটিকে।

“তাছাড়া ইসরায়েলের বিমান বাহিনীর চলাচল বাধাগ্রস্ত রতে যেসব সারফেস-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছিল ইরান, সেগুলোকেও ধ্বংস করা হয়েছে।”

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসকে অকার্যকর করতে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে গাজায় অভিযান পরিচালনা করছে ইসরায়েলি সেনারা। গত সেপ্টেম্বর থেকে হামাসের মিত্র ও লেবাননভিত্তিক সশস্ত্র ইসলামি গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধেও অভিযান শুরু করেছে আইডিএফ।

লেবানের অভিযান শুরুর পর ইসরায়েলকে সতর্কবার্তা দিতে গত ১ অক্টোবর রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই রাতে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে প্রায় ২০০ ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল ইরানের সামরিক বাহিনীর এলিট শাখা ইসলামিক রেভোল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)।

তবে অ্যান্টি মিসাইল সিস্টেমের মাধ্যমে ইরানের অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই ধ্বংস করে ফেলতে পেরেছিল আইডিএফ। তাই ১ অক্টোবরের হামলায় তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি ইসরায়েলের।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ