• বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
৪০ এর পরে খাদ্যতালিকায় পুরুষদের রাখতেই হবে যেসব খাবার নিরুৎসাহিতকরণ শেষে পর্যটকরা ৫ ডিসেম্বর থেকে সাজেক ভ্রমণ করতে পারবেন সেনা নিরাপত্তায় সাজেক ছেড়েছেন পর্যটকরা পরিবারের সঙ্গে মিলেছে ‘হারিছ চৌধুরী’র ডিএনএ, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের নির্দেশ চেম্বার আদালতে বাবুল আক্তারের জামিন বহাল, বাধা নেই মুক্তি পেতে সুবাতাস রপ্তানি আয়ে, নভেম্বরে এসেছে ৪১১ কোটি ৯৭ লাখ ডলার দিল্লির দাসত্বকে হিন্দু-মুসলমান একসাথে লড়াই করে খান খান করে দেবো: রিজভী আমু-কামরুলকে জুলাই গণহত্যা মামলায় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ কমলা চাষে সফল নওগাঁর যুব কৃষি উদ্যোক্তা শফিকুল ইসলাম বর্তমানে দেশ কঠিন সময় পার করছে: প্রধান উপদেষ্টা

ব্যাংক খাত মন্দ ঋণ দিয়ে ২৪টি ‘পদ্মা সেতু’ করা যেত

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৪
ফাইল ছবি

দেশে শুধু ব্যাংক খাতে যে পরিমাণ মন্দ ঋণ তৈরি হয়েছে, তার প্রকৃত পরিমাণ দিয়ে এমআরটি-৬ এর মতো ১৪টি ‘মেট্রো সিস্টেম’ অথবা ২৪টি ‘পদ্মা সেতু’ নির্মাণ সম্ভব ছিল। দেশের অর্থনীতিতে দুর্নীতির বিষয়ে তদন্তের ভিত্তিতে করা শ্বেতপত্রে এসব কথা বলা হয়েছে।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) প্রতিবেদনটি প্রকাশ করার কথা রয়েছে। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে তৈরি করা প্রতিবেদনটি রোববার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বিগত সরকারের আমলে ব্যাংক থেকে যেসব ঋণ দেওয়া হয়েছে, সেখানে রাজনৈতিক প্রভাব স্পষ্ট ছিল। আর এই প্রভাব ব্যাংকিং খাতের সংকটকে আরও গভীর করেছে। আলোচ্য সময়ে যে পরিমাণ ঋণ মন্দ বা বিপর্যস্ত হয়েছে, তা ১৪টি ঢাকা মেট্রো সিস্টেম অথবা ২৪টি পদ্মা সেতু নির্মাণের খরচের সমতুল্য। ক্রমাগত ঋণখেলাপি ও হাই প্রোফাইল কেলেঙ্কারি আর্থিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করেছে এবং মূলধনকে উৎপাদনশীল খাত থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে।

এতে আরও হয়, বিগত সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের ব্যাংক খাত। নামে-বেনামে ঋণ বের করা, বিদেশে অর্থপাচারসহ কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে ব্যাংকের মালিকানা পরিবর্তনের মতো ঘটনাও ঘটেছে। ফলে ব্যাংক খাতের প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন নেমে গেছে শূন্যের কোঠায়, এখন যার চড়া মূল্য দিচ্ছে ব্যাংকসহ পুরো দেশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রবাসে কর্মী পাঠাতে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো গত ১০ বছরে ভিসার জন্য হুন্ডির মাধ্যমে ১৩.৪ লাখ কোটি টাকা লেনদেন করেছে। এই টাকা ঢাকা এমআরটি লাইন-৬ (উত্তরা থেকে মতিঝিল) নির্মাণ ব্যয়ের চার গুণ। সিন্ডিকেট এবং এই শোষণমূলক নিয়োগের কারণে অভিবাসী শ্রমিকরা ন্যায্য কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত হয়েছেন এবং দেশে রেমিট্যান্সের পরিমাণ কমেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ