কয়েক দিন ধরে রাজধানীর বাজারে হঠাৎ বোতলজাত সয়াবিন তেলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে গতকাল সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে সরকার। দাম বাড়ার পরই সয়াবিন তেলে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে।
এদিকে বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮ টাকা বাড়িয়ে ১৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হলেও নতুন তেল বাসারে না আসায় বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৭ টাকায়; আর ৫ লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৮১৮ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দাম বৃদ্ধির ঘোষণার পর ডিলাররা বাজারে তেলের সরবরাহ বাড়িয়েছে। তবে নতুন দামের তেল এখনো বাজারে ছাড়া হয়নি। ফলে আগের দামেই বিক্রি করছেন তারা।
আগামীকাল বুধবার (১১ ডিসেম্বর) থেকে নতুন তেল বাজারে এলে ১৭৫ টাকা লিটার বিক্রি হবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এর আগে গতকাল সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় সরকার। বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটার ৮ টাকা বাড়ানো হয়।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ নিয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এ তথ্য জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
তিনি জানান, বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮ টাকা বাড়িয়ে ১৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮ টাকা বাড়িয়ে ১৫৭ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।
উপদেষ্টা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণে সরবরাহ সঙ্কট হয়েছে। এর ফলে দেশে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। ব্যবসায়ীরা মজুতদারি করছে, সেই তৎপরতাও লক্ষ্য করা গেছে বলে জানান শেখ বশিরউদ্দীন।
এদিকে, কয়েক দিন ধরে রাজধানীর বাজারে হঠাৎ বোতলজাত সয়াবিন তেলের সঙ্কট দেখা দেয়। তেল কিনতে এসে না পেয়ে অনেক ক্রেতাকে খালি হাতে ফিরতে দেখা যায়। রাজধানীর অধিকাংশ সুপার শপ ও মুদি দোকানে নেই বোতলজাত সয়াবিন তেল। আবার তিন বা পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল থাকলেও ১-২ লিটারের বোতল নেই। কিছু কিছু মুদি দোকানে খোলা সয়াবিন তেল পাওয়া গেলেও দাম বেড়ে কেজিতে গুনতে হয় ২০০ টাকা।
এ বিষয়ে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন, ডিলাররা তেল সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন। তেল কেনার জন্য আটা-ময়দার বস্তা কেনার শর্ত জুড়ে দিচ্ছেন। অন্য দিকে বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার কারণে তেল সরবরাহ কমেছে বলে দাবি আমদানিকারক ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর।
তারা বলছেন, বিশ্ববাজারের হিসাবে লিটারে ১০-১৩ টাকা দাম বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় আমদানি কমেছে ২০ শতাংশের মতো।