• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

জীববিজ্ঞান দ্বিতীয়পত্র

আপডেটঃ : সোমবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৭

অলোক কুমার মিস্ত্রী, বিভাগীয় প্রধান, জীববিজ্ঞান বিভাগ

 

সরকারি বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজ, পিরোজপুর।

 

প্রিয় শিক্ষার্থীরা, শুভেচ্ছা নিও। আশা করি পরীক্ষা সামনে রেখে সবাই পড়াশোনায় নিবিড় মনোনিবেশ

 

করছো। আজ আমি তোমাদের জীববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্রের ৩য় অধ্যায়ের পরিপাক ও শোষণ-বিষয়ের ওপর সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর উপস্থাপন করব, যা ২০১৮ সালের এইচ.এস.সি সকল বোর্ডের পরীক্ষার্থীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিষয়টি মনোযোগ দিয়ে দেখো।

 

 

সৃজনশীল প্রশ্ন

 

 

(ক) লালা কী?                                             ১

 

(খ) BMI বলতে কী বুঝ?                             ২

 

(গ) উদ্দীপকের A অংশের পরিপাকের ভূমিকা উল্লেখ কর।                                                    ৩

 

(ঘ) উদ্দীপকের B অংশ কীভাবে প্রোটিন পরিপাকে সহায়তা করে- বিশ্লেষণ কর।                       ৪

 

 

সৃজনশীল প্রশ্নোত্তরঃ

 

 

(ক) লালা ঃ মানুষের লালাগ্রন্থি থেকে ক্ষরিত রসকে লালা বলে।

 

(খ) উত্তর ঃ শরীরের মাত্রাতিরিক্ত ওজন নির্ধারণের জন্য উচ্চতা ও ওজনের যে আনুপাতিক হার উপস্থাপন করা হয়ে থাকে, তাকে সংক্ষেপে BMI বলে। অর্থাত্ Body Mass Index। BMI = দেহের ওজন (কিলোগ্রাম)

 

                                     ব্যক্তির উচ্চতা (মিটার)             ২

 

BMI 25-30Kg/হলে তখন একে স্থূলকায় বা মোটা বলা হয়। BMI 30Kg/এর বেশি হলে অতি স্থূলকায় বলা হয়।

 

 

(গ) উত্তর ঃ উদ্দীপকে উল্লেখিত A অংশটি পাকস্থলী। পাকস্থলীতে খাদ্য পরিপাক সংশ্লিষ্ট গ্রন্থিগুলোর নাম ও কাজ নিচে উল্লেখ করা হলো: এর গ্যাস্ট্রিক গ্রন্থি ৪ ধরণের কোষ দ্বারা গঠিত। যথা- ১. অক্সিনটিক কোষ ২. মিউকাস কোষ

 

৩. আর্জেনটাফিন কোষ ৪. জাইমোজেনিক কোষ।

 

১. অক্সিনটিক কোষ ঃ এ কোষের অপর নাম প্যারাইটাল কোষ। ক্ষরণকার এর কাজ।

 

২. মিউকাস কোষ ঃ এ কোষ মিউকাস উত্পন্ন করে।

 

৩. আর্জেনটাফিন কোষ ঃ এ ধরণের কোষ পাকস্থলীতে গ্যাস্ট্রিক ইনট্রিনসিক ফ্যাক্টর উত্পন্ন করে। যা ভিটামিন শোষণে সহায়তা করে।

 

৪. জাইমোজেনিক কোষ ঃ এ কোষের অপর নাম পেপটিক কোষ বা চীফ কোষ। এটি নিস্ক্রিয় পেসিনোজেন এর প্রভাবে সক্রিয় পেপসিনে পরিণত হয়।

 

(ঘ) উত্তর ঃ উদ্দীপকের B অংশটি হচ্ছে অগ্ন্যাশয়। যা প্রোটিন পরিপাকে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

 

নিচে এর ভূমিকা বিশ্লেষণ করা হলো: বহিঃক্ষরা গ্রন্থি হিসেবে অগ্ন্যাশয়ের কার্যক্রম বলতে মূলত পরিপাকীয় কাজকেই বুঝায়। এটি ট্রিপসিন, পেপটোন ও প্রোটিওজকে ডাইপেপটাইড ও পলিপেপটাইডে পরিণত করে। কাইমোট্রিপসিন দুগ্ধ প্রোটিন ক্যাসিনকে ভেঙ্গে প্যারাক্যাসিনে পরিণত করে থাকে। কার্বোক্সিপেপটাইডেজ পেপটোনকে পেপটাইডে পরিণত করে। কোলাজিনেজ কোলাজেন প্রোটিনকে পেপটোন ও প্রোটিওজে পরিণত করে থাকে। এছাড়াও ইলস্টিন প্রোটিনকে পেপটোন ও প্রোটিওজে পরিণত করে। এভাবে উদ্দীপকের B অংশ অগ্ন্যাশয় প্রোটিন জাতীয় খাদ্য পরিপাকে বিশেষ অবাদান রেখে মানব শরীরের হজম শক্তিতে সহায়তা করে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ