গণতন্ত্রের মানসপুত্র, উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৮৯২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে সোহরাওয়ার্দীর জন্ম। তিনি ছিলেন বিচারপতি স্যার জাহিদ সোহরাওয়ার্দীর কনিষ্ঠ সন্তান। শহীদ সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে এ দেশের শান্তিপ্রিয় গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনি মুসলিম লীগ সরকারের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করেন।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর বাঙালির যে জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটেছিল তার অন্যতম নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন যুক্তফ্রন্ট গঠনের মূল নেতাদের অন্যতম। গণতান্ত্রিক রীতি ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন তিনি। তাই তাকে ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ বলে আখ্যা দেয়া হয়।
১৯৬৩ সালের এই দিনে লেবাননের একটি হোটেলে নিঃসঙ্গ অবস্থায় শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মারা যান। ঢাকার হাইকোর্টের পাশে তিন নেতার মাজারে প্রখ্যাত এই নেতার সমাধি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসন মঞ্জু হোসেন শহিদ সোহ্রাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শোক জানিয়ে বাণী দিয়েছেন।
এছাড়াও, সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে এই নেতার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা, কোরানখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টায় হাইকোর্ট সংলগ্ন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মাজারে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে।
জাতীয় পার্টি- জেপি’র বিবৃতি
শহীদ সোহরাওয়ার্দী’র ৫৪তম মৃত্যুার্ষিকী উপলক্ষে দলের চেয়ারম্যান এবং পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম শোক জানিয়ে বাণী দিয়েছেন। বিবৃতিতে জেপি নেতৃদ্বয় বলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী আজীবন দেশবাসীর গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছেন। এজন্যই দেশবাসী জনগণ তাঁকে গনতন্ত্রের মানসপুত্র হিসাবেই জানে। গণতন্ত্রই ছিল তার মূলমন্ত্র। তিনি ছিলেন তদানিন্তন পাকিস্তানের সাংবিধানিক বিরোধী দল গঠনের জনক। এ লক্ষে তিনি আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। এই মহান নেতার জীবন আদর্শ নিজেদের মাঝে ধারণ করা এবং বাংলাদেশের সাংবিধানিক গনতন্ত্রের ধারাকে সমুন্নত রাখার শপথ গ্রহন করার আহ্বান জানান তারা।
জাতীয় পার্টি-জেপি’র পক্ষ হতে সকাল সাড়ে ৮টায় মরহুমের মাজার জিয়ারত, ফাতেহা পাঠ, পুষ্পার্ঘ অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।