• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

এইচএসসি পরীক্ষা-২০১৮

আপডেটঃ : সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৭

বৃহদায়তন প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপনার আবশ্যকতা যেমনি, ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানেও ব্যবস্থাপনার আবশ্যকতা তেমনি।

 

ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা

 

মো. কবির হোসেন (সুজন)

 

সিনিয়র প্রভাষক, ব্যবস্থাপনা বিভাগ

 

নিকুঞ্জ মডেল কলেজ,ঢাকা

 

প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ের দ্বিতীয়পত্রের প্রথম  অধ্যায় থেকে তোমাদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ  অনুধাবনমূলক প্রশ্ন এবং তার উত্তর উপস্থাপন করা হলো। আশা করি অনুধাবনমূলক প্রশ্ন সমূহ তোমাদের সংরক্ষণে থাকবে।

 

০৫. মধ্য পর্যায়ের ব্যবস্থাপনা বলতে কি বুঝায়?

 

উত্তরঃ উচ্চ পর্যায়ের ব্যবস্থাপকদের প্রণীত নীতি, কৌশল ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নিম্ন পর্যায়ের ব্যবস্থাপকগণকে কাজে  লাগাতে যে স্তরের ব্যবস্থাপনা কাজ করে তাদেরকে মধ্য স্তরের ব্যবস্থাপনা বলা হয়।

 

এরূপ ব্যবস্থাপনা মূলত উচ্চ ও নিম্ন পর্যায়ের ব্যবস্থাপনার মধ্যে সেতুবন্ধন এর ভূমিকা পালন করে। এরা

 

আবার উচ্চ পর্যাযের প্রণীত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সহায়ক পরিকল্পনা প্রণয়ন করে থাকেন। তাই যে স্তর

 

প্রণীত পরিকল্পনার আলোকে নিম্ন স্তরের ব্যবস্থাপকদের কাজে লাগিয়ে উচ্চ স্তরের প্রণীত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে থাকেন তাকে মধ্য পর্যায়ের ব্যবস্থাপনা বলা হয়।

 

০৬. ব্যবস্থাপনাকে কি পেশা বলা যায়? ব্যাখ্যা কর।

 

উত্তরঃ  বিশেষায়িত জ্ঞান সংবলিত কোন কাজ বা বৃত্তিকে পেশা বলা হয়।

 

বিশেষায়িত জ্ঞান বলতে নির্দিষ্ট ক্ষেত্র সংশ্লিষ্ট তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক জ্ঞানকে বুঝায়। তাই কোনো কাজকে পেশা হিসেবে বিবেচনা করতে হলে পেশা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তার সুস্পষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে, পেশাগত বিষয়ে রাষ্ট্র স্বীকৃত প্রতিনিধিমূলক সংস্থা থাকতে হবে, পেশার প্রমাণ হিসেবে  সদস্য পদ লাভ করতে হবে, পেশাগত আচরণ সংস্থা কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হতে হবে, এই সব নিয়ম মেনে চলার দৃঢ় অঙ্গীকার বন্ধ হতে হবে এবং সদস্যবৃন্দের পরামর্শ প্রদানের ক্ষমতা থাকতে হবে। এই সব বৈশিষ্ট্যের কতগুলোর সাথে ব্যবস্থাপনার মিল থাকলেও কতগুলোর

 

       সাথে অমিল বিদ্যমান। সেই দিক থেকে আমাদের দেশে ব্যবস্থাপনা এখনো পেশা হয়ে উঠতে পারেনি।

 

৭.  ব্যবস্থাপনার সার্বজনীনতা বলতে কি বুঝায়?

 

উত্তরঃ সকল ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা জ্ঞানের প্রয়োগযোগ্যতাকে ব্যবস্থাপনার সার্বজনীনতা বলা হয়।

 

বৃহদায়তন প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপনার আবশ্যকতা যেমনি, ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানেও ব্যবস্থাপনার আবশ্যকতা তেমনি।      তাছাড়া পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র এমনকি সর্বক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনার উপস্থিতি বিদ্যমান। এছাড়াও পরিকল্পনা  বাস্তবায়নের জন্য ছোট বড় সকল প্রতিষ্ঠানেই উপায়-উপকরণাদি সংহতকরণ,  কর্মীসংস্থান, নির্দেশনা প্রেষণা, সমন্বয় সাধন এবং নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি কার্য সম্পাদনের ব্যবস্থাপনার আবশ্যকতা রয়েছে। তাই আড়াই হাজার বছর পূর্বে গ্রীক দার্শনিক সক্রেটিস বলেছিলেন, ”ব্যবস্থাপনা একটি সার্বজনীন বিষয়”।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ