• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
৩৪০ মিসাইল দিয়ে ইসরায়েলে হিজবুল্লাহর হামলা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি রহস্যময় ড্রোনের দেখা মিলল ব্রিটেনের তিন মার্কিন বিমানঘাঁটির আকাশে নানা আলোচনা মির্জা ফখরুলের স্ট্যাটাস ঘিরে সড়ক অবরোধ করে আজও রিকশাচালকরা বিক্ষোভ করছেন পাচার করা অর্থ ড. ইউনূসের ইমেজ কাজে লাগিয়ে ফেরত আনা সম্ভব হাসিনাসহ ৪৪ জনের বিরুদ্ধে হেফাজতের সমাবেশে গণহত্যয় ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ হামলা ও ভাঙচুরের ধ্বংসস্তূপ সোহরাওয়ার্দী-নজরুল কলেজ, পরীক্ষা দিতে পারেননি শিক্ষার্থীরা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১১ জনের মৃত্যু বৈধপথে ২৩ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২০ হাজার ৭১৬ কোটি টাকা নির্বাচন নিয়ে যা জানালেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার

রাষ্ট্রায়ত্ত্ব চার ব্যাংককে একীভূত করার লক্ষ্য অর্থমন্ত্রীর সম্মতি পেলে সারসংক্ষেপ পাঠানো হবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে

আপডেটঃ : বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৭

অব্যাহত লোকসানের প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের চার ব্যাংককে একীভূত করার উদ্যোগ নিচ্ছে অর্থ বিভাগ। ব্যাংকগুলো হলো—বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি), রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব), বেসিক ব্যাংক ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (বিডিবিএল)। একীভূত করার জন্য একটি সারসংক্ষেপ প্রস্তুত করা হচ্ছে। প্রথমে এটি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে পাঠানো হবে। তিনি সম্মতি দিলে পরে তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হবে। এরপর তা বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হবে। কেননা ব্যাংক একীভূত করার দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত পাঁচ বছরে এ চার ব্যাংকের পেছনে সরকার প্রায় সাড়ে ৪ হাজার  কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে। এর মধ্যে শুধু বেসিক ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি মেটাতে পাঁচ বছরে সরকারি কোষাগার থেকে দেওয়া হয়েছে ৩ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে বিকেবি আর রাকাবের পেছনে সরকার লোকসান দিয়েছে ৪১৮ কোটি টাকা। বিডিবিএল বর্তমানে লোকসানে নেই।
অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ব্যাংক একীভূত করার দায়িত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের। তাই বাংলাদেশ ব্যাংককে বলা হয়েছে আগামী এক বছরের মধ্যে যেন একীভূতকরণ আইনের একটি কাঠামো দাঁড় করানো হয়। এরপরই সরকারি ব্যাংকের একীভূতকরণের কাজ শুরু করা হতে পারে। ব্যাংকাররা বলছেন, সরকারি ব্যাংকের মালিক সরকার। বাংলাদেশ ব্যাংকের আইন ও নীতি অনুসারে একীভূত করায় আইনি  কোনো বাধা নেই। তবে একীভূত হলেও এসব ব্যাংকের সমস্যা সমাধান হবে না। ব্যাংকগুলোর সমস্যা নন-পারফরমিং লোন এবং ঋণ দিলে ঋণ আদায় হয় না। এ জন্য সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকগুলো প্রাইভেট  সেক্টরে ছেড়ে দিতে পারে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষমতা আরও বাড়ানো প্রয়োজন।
অর্থ বিভাগের একটি সূত্র জানায়, গত ২৬ আগস্ট ব্যাংকগুলোকে পুনর্গঠনের বিষয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের করা বৈঠকে ১১৩টি সুপারিশ এসেছে। এসব সুপারিশের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে একীভূতকরণ। সুপারিশগুলো পর্যালোচনা করে এক দফা বৈঠকও করেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। শিগগির আবার পর্যালোচনা বৈঠক করে এসব সুপারিশ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের জন্য সারসংক্ষেপ চূড়ান্ত করবে। ইতোমধ্যে এর খসড়া অর্থমন্ত্রীকে দেখানো হয়েছে। তিনি সেখানে কিছু পরিবর্তন ও পরিবর্ধন আনার পরামর্শ দিয়েছেন। এটি চূড়ান্ত হলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন সুপারিশের মধ্যে একটিতে বলা হয়েছে, সোনালী ব্যাংকের ১ হাজার ২১৩টি শাখা পরিচালনায় সমস্যা হচ্ছে না। সেখানে বিডিবিএলের ৪২টি এবং বেসিক ব্যাংকের ৬৮টি শাখার জন্য আলাদা এমডি, ডিএমডির প্রয়োজনীয়তা কতটুকু তা ভেবে দেখা  দরকার। তাছাড়া সোনালী ব্যাংকের মতো একটি বড় ব্যাংক থাকা সত্ত্বেও এসব ব্যাংকের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এসব ব্যাংককে অন্য কোনো ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করলে একদিকে যেমন এদের কার্যক্রম বৃদ্ধি পাবে অন্যদিকে সরকারের খরচও কমবে। শুধু তাই নয়, সরকার যে প্রতি বছর এসব ব্যাংকের পেছনে লোকসান দিচ্ছে তা-ও বন্ধ হবে। তবে ব্যাংকগুলো কোন প্রক্রিয়ায় একীভূত হবে, এসব প্রতিষ্ঠানের জনবল ও মূলধন কীভাবে একীভূত করা হবে সে বিষয়ে নীতিমালা প্রয়োজন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ