নতুন মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আইন বাস্তবায়নের সুবিধার্থে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে- নতুন আইনের সঙ্গে সংগতি রেখে ব্যবসা পরিচালনা আরো সহজ করা এবং রাজস্ব আয় বাড়ানো। সংশোধিত প্রকল্পের আওতায় ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনা, কার্যক্রম ও প্রশাসন কম্পিউটারাইজড এবং অটোমেশন করা হবে।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন-২০১২ বাস্তবায়ন (ভ্যাট অনলাইন) দ্বিতীয় সংশোধিত প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।
এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য এবং ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. রেজাউল হাসান বলেন, ভ্যাট আইনের ফাঁকফোকর দূর করে ভ্যাট রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য ভ্যাট প্রশাসনকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। যেহেতু নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন দুই বছর পেছানো হয়েছে-তাই এই আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রকল্পটি সম্প্রসারণের প্রয়োজন ছিল।
পাশাপাশি অধিক রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রকল্পটি ২০২০ সাল পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হয়েছে। সংশোধিত এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে কর প্রদান করেন না এমন ব্যক্তিদের সনাক্ত করা আরো সহজ হওয়ার পাশাপাশি রাজস্ব আয় বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
রেজাউল হাসান জানান, ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পটি ২০১৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদন করে একনেক। এখন প্রকল্পের মেয়াদ দুই বছর বৃদ্ধি করে বাস্তবায়ন মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০১৩ থেকে ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত।
সংশোধিত প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ৬৯০ কোটি ১৩ লাখ টাকা।এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ২৪০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ৪৪৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। প্রকল্পের সাহায্য প্রদানকারী সংস্থা বিশ্ব ব্যাংক। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে এনবিআর।
প্রকল্পের পটভূমিতে উল্লেখ করা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে এনবিআর আধুনিকায়ন ও শক্তিশালীকরণ কার্যক্রমের মধ্যে শুল্ক ও আয়কর অনুবিভাগের অটোমেশন কার্যক্রম প্রায় চূড়ান্ত হওয়ার পথে। এর ধারাবাহিকতায় ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্প এলাকা ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশ।