ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন- ২০১৮ নিবর্তনমূলক আইন হিসাবে উল্লেখ করে বিএনপি নেতারা বলেছেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারা রেখে দেওয়া হয়েছে। শুধু নামটা পরিবর্তন করা হয়েছে। কার্যত আইসিটি আইনের বিধান ঘুরেফিরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে স্থান পেয়েছে। এটা দিয়ে সরকার ধোঁকাবাজি করছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আইসিটি আইনের চেয়েও খারাপ। কিছু ক্ষেত্রে আইনটি আরও কঠিন করা হয়েছে। গতকাল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারা বিলুপ্ত করে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন- ২০১৮ (আইসিটি আইন)’ এর খসড়া মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার পর বিএনপি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন ।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই নিবর্তনমূলক আইন নিয়ে ইতোমধ্যে সবাই বলতে শুরু করেছেন। কেবল খোলসটা পরিবর্তন করা হয়েছে, মূল আইনটা থেকেই গেছে। একদলীয় শাসন ব্যবস্থার আর কিছু বাকি নেই। বলছেন- দেশে একদলীয় শাসনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আমি যতটুকু জেনেছি, নতুন আইন আরও খারাপ।
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী বলেন, এটাকে জংলি আইন ছাড়া কিছু বলা যায় না। তথ্য অধিকার মত প্রকাশের স্বাধীনতার সঙ্গে সম্পৃক্ত। এই আইনের ফলে মানুষের যে তথ্য অধিকার, সেটা খর্ব হবে।