বাংলা
মো.সুজাউদ দৌলা, সহকারী অধ্যাপক, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, ঢাকা
ফেব্রুয়ারির গান
লুত্ফর রহমান রিটন
প্রশ্ন-১ । কবি কোন ‘মন ভোলানো সুর’ সম্বন্ধে বলেছেন?
উত্তর: কবি যে ‘মন ভোলানো সুর’ সম্বন্ধে বলেছেন : কবি ‘ফেব্রুয়ারির গান’ কবিতায় নদী সাগরের ঢেউগুলোর সুরের কথা বলেছেন। নদী সব সময় মাটির বুক চিরে সাগরের দিকে বয়ে চলে। নদীর এ বয়ে চলার পথে অসংখ্য ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। নদীর ঢেউগুলোর ধ্বনি কুলুকুলু। কবি মনে করেন মানুষ যেমন মনের ভাব প্রকাশে এ ঢেউ-এর সৃষ্টি করে। নদী সাগরের এ ঢেউ আমাদের কানে মধুর সুরের সৃষ্টি করে। মাতৃভাষা বাংলার মতোই নদী-সাগরের ঢেউ-এর সুর আমাদের আনন্দ দেয়। কবি এ নদী সাগরের ঢেউগুলোকে ‘মন ভোলানো সুর’ বলেছেন।
প্রশ্ন-২। গ্রীষ্ম-বর্ষা-শীতের বাতাসে কিসের প্রতিধ্বনি ছড়ায়?
উত্তর: গ্রীষ্ম-বর্ষা-শীতের বাতাসে যে প্রতিধ্বনি ছড়ায়: ঝরণা পাহাড়ের বুক থেকে নেমে এসে যুগ যুগ ধরে সাগরের দিকে ছুটে চলে। তার চলার কোনো বিশ্রাম নেই। তাই গ্রীষ্ম-বর্ষা-শীতের বাতাসে সারা বছর ঝরণার প্রতিধ্বনি ছড়ায়।
প্রশ্ন-৩। পাতা মুগ্ধ হচ্ছে, স্বর্ণলতা মুগ্ধ হচ্ছে কিসের গানে?
উত্তর: যার গানে পাতা মুগ্ধ হচ্ছে, স্বর্ণলতা মুগ্ধ হচ্ছে : গাছের গানে পাতা মুগ্ধ হচ্ছে, স্বর্ণলতা মুগ্ধ হচ্ছে। পৃথিবীতে যখন প্রাণ ছিল না তখন পৃথিবী ছিল উত্তপ্ত। জীবকূলের বসবাসের জন্যে পৃথিবী ছিল অনুপযোগী। এ উত্তপ্ত পৃথিবীতে গাছই প্রথম শীতল করে। গাছের সৃষ্টিতেই পৃথিবীতে প্রাণের সুর প্রবাহিত হয়। গাছ মাটি থেকে রস সংগ্রহ করে তা পাতায় পৌঁছে দেয়। সেখানে তৈরি হয় খাদ্য। বেড়ে ওঠে গাছ। সৃষ্টি হয় সুরের। আর গাছের পাতায় স্বর্ণলতা সে সুর ছড়িয়ে দেয়। ফলে বাতাসে গাছের পাতায় সৃষ্টি হয় মধুর ধ্বনির। কবি পৃথিবীতে গাছের এ অবদানকে গাছের সুর বলেছেন। তাই গাছের গানে পাতা ও স্বর্ণলতা মুগ্ধ হচ্ছে।