• বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১২:১৬ অপরাহ্ন

তেজি ডলার, বাড়ছে আমদানি ব্যয়

আপডেটঃ : রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

বাজারে ডলার ছেড়েও দাম নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। বাড়ছে ডলারের দাম ও চাহিদা দুটোই। আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির বিপরীতে রফতানি ও রেমিটেন্স প্রবাহ কম হওয়ায় ডলার বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। তবে কোনো কোনো ব্যাংক ডলার ধরে রেখে ব্যবসা করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। বিশেষত:এই মুহূর্তে ব্যাংকগুলোর আয়ের একটি বিশেষ অংশই ডলার কেনাবেচা থেকে হচ্ছে।

সূত্রমতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম থেকে এ পর্যন্ত প্রায় দেড়শ’ কোটি ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অথচ গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংক আন্তঃব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে বিক্রি করেছিল মাত্র ১৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার। বিপরীতে কিনেছিল ১৯৩ কোটি ১০ লাখ ডলার।

গত কয়েক মাসে বাজারে প্রচুর ডলার ছেড়ে দাম ঠিক রাখার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এজন্য গত দুই-তিন মাসে দাম ব্যাপকহারে না বাড়লেও ডলারের দাম ক্রমাগত বাড়ছে। এক বছর আগের চেয়ে এখন বেড়েছে প্রায় চার টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে দেখা গেছে, আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার এখন ৮২ টাকা ৯০ পয়সা বিক্রি হচ্ছে। গত বছরের জানুয়ারিতে যা ছিল ৭৮ টাকা ৭০ পয়সা। আন্তঃব্যাংক লেনদেনের বাইরে কার্ব মার্কেটে (খোলা বাজারে) ডলারের দাম আরো বেশি। গ্রাহক সেবার বিপরীতে গতকাল মঙ্গলবার বেসরকারি একটি ব্যাংকের ঘোষিত বিনিময় হার ছিল ৮৪ টাকা ৭০ পয়সা। যা এ যাবত্কালের সর্বোচ্চ।

ফিনান্সিয়াল ইকোনমিস্ট ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী বলেন, ডলার বাজারের এমন পরিস্থিতিতে ঘোষিত বিনিময় হার মেনে না চলায় গত বছরের শেষ দিকে ২৬ ব্যাংককে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতেও ডলার বাজারের অস্থিরতা কাটেনি। তবে রফতানিকারকদের স্বার্থবিবেচনায়ও ডলারের বিনিময় হার নিয়ে ততটা কঠিন পদক্ষেপ নিতে পারছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যে কারণে মুদ্রার ভাসমান বিনিময় হার চালু করলেও বাংলাদেশ তা কার্যকরভাবে ধরে রাখতে পারছে না।

ডলারের এই দাম বৃদ্ধি আমদানি ব্যয় কিংবা ভোক্তা ব্যয় বাড়াচ্ছে। ডলারের বেশি দামের কারণে আমদানিকৃত পণ্যের মূল্যও বেড়ে যাচ্ছে। সূত্রমতে, অর্থবছরের ছয় মাসেই এলসি খোলার পরিমাণ ৪০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। বছর শেষে এই অংক ৬০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। আমদানি বাড়ার কিছু ক্ষেত্র যেমন বড় উন্নয়ন প্রকল্পের যন্ত্রাংশ—উপকরণ আমদানি বেড়েছে। খাদ্যপণ্য বিশেষত চাল ও গম আমদানি গত ছয়মাসে ২শ’ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। জ্বালানি তেল আমদানিতেও খরচ বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশের কাছাকাছি। শিল্পের কাঁচামাল আমদানি বেড়েছে ১৫ শতাংশের বেশি। ফলে, ডলারের চাহিদা বেড়ে গেছে। যা দামের উল্লম্ফন ঘটাতে সহায়ক হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ